ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা চেম্বারের ২০২০-২১ অর্থবছরের ১১ বাজেট প্রস্তাব

প্রকাশিত: ১১:৪২, ২৬ মার্চ ২০২০

ঢাকা চেম্বারের ২০২০-২১ অর্থবছরের ১১ বাজেট প্রস্তাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রস্তাবনাসমূহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (করনীতি) আলমগীর হোসেনের কাছে পেশ করেন ডিসিসিআইর সভাপতি শামস মাহমুদ। ২৫ মার্চ ঢাকা চেম্বার ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে মোট ১১টি প্রস্তাব পেশ করেছে। ডিসিসিআই উর্ধতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ প্রগেসিভ হারে সকল স্তর থেকে কর্পোরেট কর হার আগামী ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে ৫ শতাংশ, ৭ শতাংশ ও ১০ শতাংশ হারে হ্রাস করা, কর্পোরেট ডিভিডেন্ডের আয়ের ওপর ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ কর নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেন, যাতে করে হ্রাসকৃত কর্পোরেট ট্যাক্স পুনঃবিনিয়োগ করা হলে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ কর আহরণের নতুন উৎস সৃষ্টি হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতার কর মুক্ত আয়ের সীমা ২,৫০,০০০ টাকা হতে বাড়িয়ে ৩,০০,০০০ টাকা এবং ব্যক্তিশ্রেণীর আয়কর সর্বনিম্ন হার ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে হ্রাস করার প্রস্তাব করেন, কারণ বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির হার ও বর্ধনশীল জীবনযাপনের ব্যয় বিবেচনায় রেখে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি কর প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও করের আওতা বৃদ্ধির জন্য সম্পূর্ণ অটোমেটেড অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করেন, যার ফলে দেশের কর প্রদান ব্যবস্থা সহজ হবে এবং ব্যবসার পরিবেশ সূচক উন্নয়নে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। ডিসিসিআইর সভাপতি, ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদান করলে কর রেয়াত নেয়ার সুযোগ প্রদানের পরিবর্তে ৫ শতাংশ, ৭.৫ শতাংশ, ১০ শতাংশ অথবা যে কোন হারে ভ্যাট প্রদান করলে কর রেয়াতের সুযোগ প্রদানেরও প্রস্তাব করেন। শিল্পায়নের ধারাকে বেগবান করার জন্য রফতানিমুখী শিল্পপণ্য উৎপাদন বাড়াতে ও রফতানিবহুমুখীকরণকে উৎসাহিত করতে শিল্পপণ্য উৎপাদনে সকল প্রকার কাঁচামাল ও মেশিনারিজর ওপর অগ্রিম কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেন পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতের ডিজাইন এবং ডামি সেন্টার, স্যাম্পল, ইটিপি, জ্বালানি দক্ষতা এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেন। এছাড়াও এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বার্ষিক টার্নওভারের লিমিট ৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি এবং পণ্যের ভ্যালু এডিশন বা মুনাফা অনুপাতে ৪ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেন। বিদ্যুতের সঞ্চালন ও বিতরণের আওতা এবং মান বৃদ্ধি করতে সঞ্চালন ও বিতরণ-এ বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান এবং বিদ্যুত খাতের আমদানি বিকল্প ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পসমূহকে উৎসাহিত করতে বেসরকারী খাতকে সাব-স্টেশন যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য এ্যাকসেসরিজ উৎপাদনে কর অবকাশ সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করেন। একই সাথে বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে এ বছরের বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানান, যাতে করে সরকার, সাধারণ জনগন এবং বেসরকারী খাত এ অবস্থা উত্তরণে সহায়ক নীতিমালা ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সুফল পেতে পারে।
×