ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশেই তৈরি হচ্ছে চিকিৎসা সরঞ্জাম

প্রকাশিত: ১১:৪১, ২৬ মার্চ ২০২০

দেশেই তৈরি হচ্ছে চিকিৎসা সরঞ্জাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যখন চারদিকে করোনার নানা সরঞ্জাম নিয়ে হাহাকার, তখন দেশেই চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির কারখানা দেখাচ্ছে আশার আলো। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখে দেশেই এখন তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের বেড, গ্লাভস, নেবুলাইজার থেকে শুরু করে স্পর্শকাতর নানা ডাক্তারি যন্ত্রাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মাধ্যমে নতুন একটি ক্ষেত্র যেমন তৈরি হলো, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়, কর্মসংস্থান ও ডাক্তারি যন্ত্রাংশের দেশীয় বাজারে সহজলভ্য হলো। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়েই সঙ্কট দেখা দিয়েছে, চিকিৎসা সামগ্রীর। যোগান ঠিক রাখতে, হিমশিম খাচ্ছে উন্নত দেশগুলো। তবে, দেশেই চিকিৎসা সামগ্রী তৈরি করছে প্রমিস্কো গ্রুপ। ২০০০ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি কোন রোগীর হাসপাতালে প্রবেশের পর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা পর্যন্ত যত ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম লাগে তার অর্ধেকই উৎপাদন করে। এছাড়া নতুন ১১ ধরনের স্পর্শকাতর মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট তৈরির প্রস্তুতিও চলছে জোরেশোরে। প্রমিস্কো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মৌসুমী ইসলাম বলেন, হাসপাতালে প্রবেশের শুরুতেই যে ট্রলি বা হুইলচেয়ার থেকে শুরু করে আইসিইউ পর্যন্ত সব ধরনের পণ্য আমরা দিতে পারছি। যে কোন দুর্যোগকালীন পরিস্থিতির যে ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়, সেগুলোর ব্যাপারে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানালেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার। যাতে সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত পণ্য কিনছেন। মৌসুমী ইসলাম বলেন, শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য যে আইসোলেশন দরকার সেই আইসোলেশনের সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা করতে পারব। দেশের ৯৫ শতাংশ চিকিৎসা সরঞ্জামই আমদানি নির্ভর। এটি কমাতে সরকারের কাছে প্রণোদনা নয়, নীতিগত সহায়তার দাবি জানান তিনি। সেই সঙ্গে গবেষণা ও মানোন্নয়নে আধুনিক ল্যাবরেটরি এখন সময়ের দাবি। গার্মেন্টস কিংবা চামড়াজাত শিল্পের মতো এবার স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে হাটছে বাংলাদেশের মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট শিল্প। তবে যাত্রাপথ আরও বহুদূর বাকি। সংশ্লিষ্টতা জানালেন এই সময়ের মধ্যে সরকারের নীতিগত সহায়তা পেলে ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাতকে আরও বহুদূর এগিয়ে নেয়া যাবে।
×