স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশ প্রায় লকডাউন। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়েছে। সারাদেশে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মসজিদে জামাতে নামাজের বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট কোন ঘোষণা আসেনি। তবে বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত না করে কেউ মসজিদে আসবে না। এই নির্দেশনায় জামাতে মুসল্লি সীমিত রাখার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু কিভাবে সীমিত রাখা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা নেই।
এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের আনিস মাহমুদের বক্তব্য জানতে ফোন দেয়া হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই ধরনের নির্দেশনায় অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। ইসলামি ফাউন্ডেশন থেকে বুধবার ‘করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ধারণ করার প্রেক্ষাপটে ইসলামের বিধিবিধান অনুসরণে দেশের বিশিষ্ট আলেমদের আহ্বান শিরোনামে’ এক বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় মহাপরিচালকের নামে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে করোনা সংক্রমণ রোধ এবং মানুষের ব্যাপক মৃত্যুঝুঁকি থেকে সুরক্ষার জরুরী পদক্ষেপ হিসেবে সব ধরনের জনসমাগম রোধের পাশাপাশি মসজিদ সমূহে জুমা ও জামাতে মুসল্লিদের উপস্থিতি সীমিত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। মসজিদ বন্ধ থাকবে না, তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হতে সুরক্ষা নিশ্চিত না হয়ে মসজিদের গমন করবে না বলে মুসল্লিদের আহ্বান জানানো হয়েছে। সবাইকে অপরাধমূলক কর্মকা- থেকে বিরত হয়ে ব্যক্তিগত তওবা, ইস্তিগফার ও কোরান তেলাওয়াত অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ইসলামিক ফাইন্ডেশনের জনসংযোগ শাখার একজন কর্মকর্তাকে ফোন করা হলেও তিনি সুনির্দিষ্ট কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
দেশে করোনাভাইসরা সংক্রমণ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য বারবার আহ্বান জানানো হচ্ছে।