অনলাইন ডেস্ক ॥ সামাজিক দূরত্ব (সোশ্যাল ডিসটেন্স) বজায় রেখে চললে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরিমাণ প্রায় ৬২ শতাংশ কমানো যাবে বলে দাবি করেছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) গবেষকরা।
ভাতরীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কোভিড ১৯-কে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করার আগের সপ্তাহে এই গবেষণা করা হয়। আইসিএমআর’র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া ও সোশ্যাল ডিসটেন্সিংকে গুরুত্ব দিয়ে পালন করলে করোনার সংক্রমণ ভারতে ৬২ শতাংশ কম হবে। যারা ইতোমধ্যে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত বা যাদের মধ্যে এ রোগের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তাদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। কিন্তু যেহেতু এ রোগে কেউ আক্রান্ত কি না তা সহজে বোঝা যায় না, তাই এই সোশ্যাল ডিসটেন্সিং খুবই প্রয়োজনীয়।’
ভারতের চারটি শহর দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু ও কলকাতাকে বেছে নেয়া হয় এই এই গবেষণার কেন্দ্রে। কারণ, এই চার শহরে আন্তর্জাতির অ্যারাইভাল বেশি হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘একজন করোনাভাইরাস আক্রান্তের থেকে গড়ে ১.৫ থেকে ৪.৯ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। এখান থেকেই গবেষকরা দুটি অবস্থার বর্ণনা করেন। একটি হলো আশাবাদী বা সবচেয়ে কম বিপজ্জনক অবস্থা (গড়ে ১.৫ জন আক্রান্ত)। আরেকটি- নিরাশাবাদী বা সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক অবস্থা (গড়ে ৪.৯ জন আক্রান্ত)।
গবেষণাকদের মতে, শুধু আক্রান্তরা নন। যাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তাদের ৫০ শতাংশকে যদি কোয়ারেন্টাইনে রাখা যায় এবং স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা করা যায় তাহলেই ভারতে ৬২ শতাংশ কম হবে এ ভাইরাসের সংক্রমণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শুরু থেকেই সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বা সামাজিক জমায়েত থেকে নিজেকে আলাদা করে রাখর ওপরে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। প্রথম থেকেই মানুষকে নিজেদের বাড়িতে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয় ডব্লিউএইচও।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: