ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৩৪৭ কারখানায় ১ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ২২ মার্চ ২০২০

৩৪৭ কারখানায় ১ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো একের পর এক লকডাউন ঘোষণা করছে। বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করছে পোশাকের ব্র্যান্ডগুলো। এ পরিস্থিতিতে ভোক্তা চাহিদায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কিন্তু বাজার চাহিদার এ পরিস্থিতিতে নতুন ক্রয়াদেশ দিচ্ছে না ক্রেতারা। এরই মধ্যে দেয়া ক্রয়াদেশগুলোর পরিমাণ কমাচ্ছে। চলমান ক্রয়াদেশগুলোর উৎপাদন থেকে বিরত থাকতে বলছে ক্রেতারা। আবার কর্মক্ষেত্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকিতেও আছেন শ্রমিকরা। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পসংশ্লিষ্ট সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্যমতে, চব্বিশ ঘণ্টায় ১০ কোটি ডলারের অর্ডার বাতিল হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩৪৭ কারখানায় প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বা ১০০ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস শিল্প-কলকারখানা আপাতত চালু রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। রবিবার বিকেলে এক বৈঠক শেষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। জানা গেছে, করোনার প্রভাবে প্রথমে কাঁচামাল সরবরাহ সংকটে পড়তে হয়েছিল পোশাক খাতকে। চীননির্ভর কাঁচামালগুলো আসতে পারছিল না। কারণ করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ধীরগতিতে হলেও কাঁচামাল সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও এখন চাহিদা সংকটে পড়েছে দেশের পোশাক খাত। পশ্চিমা দেশগুলোর ক্রেতারা একের পর এক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় ভোক্তা চাহিদা কমে বিক্রি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ দিচ্ছে ক্রেতারা। বিরূপ পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ বাতিলের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে বিজিএমইএ। রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, বিজিএমইএর সদস্য ৩৪৭ কারখানার ১ বিলিয়ন ডলার বা ১০০ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্রয়াদেশ বাতিল-স্থগিত করা ক্রেতাদের মধ্যে প্রাইমার্কের মতো বড় ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানও আছে। ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত না করতে ৪১ ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানিয়ে ই-মেইল দিয়েছে বিজিএমইএ। শিল্পমালিকরা বলছেন, বর্তমানে যে কাজ আছে তা নিয়ে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ কারখানা সচল রাখা যাবে। এছাড়া একই ছাদের নিচে অনেক শ্রমিক কাজ করায় রয়েছে সংক্রমণের ঝুঁকিও। এ পরিস্থিতিতে কারখানা চালু থাকবে নাকি বন্ধ করে দেয়া হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
×