ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তৌফিক অপু

বসন্তের কোমল পোশাক

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ২০ মার্চ ২০২০

বসন্তের কোমল পোশাক

প্রকৃতির পালাবদল মনকে দোলা দিয়ে যায়। প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়েছে এ দেশকে। ষড়ঋতুম-িত এ দেশ সত্যিকার অর্থেই অপরূপ। একেক ঋতু একেক রূপ নিয়ে ধরা দেয় আমাদের মাঝে। পালাবদলের পরিক্রমায় ঘটে যায় নানা ঘটনা। কখনও প্রকৃতি রুদ্র মূর্তি ধারণ করে কখনও বা স্নিগ্ধ পরশ বুলিয়ে দেয়। দিন বদলায় সময় বদলায় বদলে যায় মন। সব বদল যেন প্রকৃতির নিয়মেই ঘুরপাক খায়। যতই দিন গড়াচ্ছে মানুষ ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ নিজেকে ব্যস্ত রাখছে নিজ নিজ কাজে। ঋতুর এ পরিবর্তন ব্যস্ত মানুষগুলোর যেন চোখ এড়িয়ে যায়। তারপরেও কিছু কিছু ঋতু চাইলেও চোখ এড়িয়ে যাওয়া যায় না। অপূর্ব শোভা নিয়ে ধরা দেয় নিমিষেই। তেমনি এক ঋতু বসন্ত। প্রকৃতির পালাবদলে বইছে মৃদু মন্দ হাওয়া। এ যেন এক মন মাতানো পরিবেশ। প্রকৃতি যেমন তার রূপ বদলায় ঠিক তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলে যায় ফ্যাশন। বসন্তের এ সময় অনেকেই পোশাকে বিড়ম্বনায় পড়েন। একটু মোটা কাপড় পরলে গরম লেগে যায় আবার হাল্কা কাপড় গড়েলে ঠা-া অনুভূত হয়। ফলে আবহাওয়া উপযোগী পোশাকের সন্ধান করে থাকেন অনেকেই। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলো নিয়ে এসেছে আবহাওয়া উপযোগী পোশাক। যা সহজেই মানিয়ে যাবে এ ঋতুতে। ঋতু অনুযায়াী পোশাক তৈরির ট্রেডিশন খুব বেশিদিন হয়নি এ দেশে চালু হয়েছে। তারপরেও খুব দ্রুত এ ট্রেডিশনটি ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ ব্যস্ত জীবনে ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোশাক এখন হাতের কাছেই মেলে। যার ফলে বাড়তি চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয় না। এ ঋতুতে মূলত ফুলসিøভ ড্রেস প্রাধান্য পেয়েছে। ফুলসিøভ ড্রেসের মধ্যে হুডি শার্ট, টি-শার্ট এখন বেশ জনপ্রিয়। শার্ট কিংবা টি-শার্টের কলারের সঙ্গে সংযুক্ত ঘোমটার মতো একটা হুড যা কিনা আগে জ্যাকেট অথবা সোয়েটারের সঙ্গে শোভা পেত। সেই হুড এখন শার্ট, টি-শার্টের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ফ্যাশনে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। ফ্যাশন হাউস প্রতিনিয়ত পরীক্ষামূলক পোশাক বাজারে ছেড়ে থাকে ক্রেতাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য। চাহিদা ও পছন্দের ওপর নির্ভর করে পণ্যের যোগান। হুডি শার্ট, টি-শার্ট বাজারে আসা মাত্রই ক্রেতাদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়। অর্জন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। ফলে এ পোশাকটি এ দেশের ফ্যাশন ট্রেন্ডে শক্ত আসন করে নিয়েছে। এছাড়াও আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে ফুল সিøভ টি-শার্ট, হাই নেক টি-শার্ট, লং কুর্তা, টপস্, ট্রাউজার, ব্যাগি জিন্স এখন প্রতিটি ফ্যাশন হাউসে শোভা পাচ্ছে। মানুষ যত বেশি ফ্যাশনসচেতন হয়ে উঠছে ততই বাড়ছে ফ্যাশন হাউসের সংখ্যা। ইচ্ছে হলেই যুগোপযোগী পোশাকে সাজানো যাবে নিজেকে। অফিসিয়াল ফুলসিøভ শার্টেও ঋতুর প্রাধান্য বিদ্যমান। কাপড় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে খাদি, কটন, সিনথেটিক, জয়সিল্ক, এন্ডি কটন। এ সময়টায় দিনের বেলা গরম অনুভূত হয় আবার সন্ধ্যা না ঘনাতেই ঠা-া লাগতে শুরু করে। যে কারণে শীতের মতো বাড়তি কাপড় অর্থাৎ জ্যাকেট, সোয়েটার কিংবা শাল নিয়ে বের হওয়া হয় না। তাই এ সময়টায় এমন ড্রেস পরা উচিত যা দিন কিংবা রাতে অস্বস্তিতে না ফেলে। এ সময়ে ফুলসিøভ ড্রেস বেশ উপযোগী। দিনে এবং রাতে অনায়াসে মানিয়ে যাবে। মেয়েদের ড্রেসগুলোতে কাজের ভেরিয়েশন লক্ষণীয়। পার্টি ড্রেসগুলোতে রাখা হয়েছে ভারি কাজের মিশ্রণ। যা এ আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই। তরুণীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এ ড্রেসগুলো। ঋতুভিত্তিক পোশাক জনপ্রিয় হওয়ার আরেকটি মূল কারণ হচ্ছে সহনীয় দাম। যেমন হুডি শার্ট পাওয়া যাবে ৬০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। হুডি টি-শার্ট ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় মিলবে। ফুলসিøভ টি-শার্ট পাওয়া যাবে ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়। পলো শার্ট ৪৫০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকায় মিলবে। টপস্ এর মূল্য পড়বে ৬০০ টাকা ১২০০ টাকা। হাই নেক টি-শার্ট ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা। কর্মজীবী মানুষদের জন্য অফিসিয়াল শার্ট এবং ফুল সিøভ সালোয়ার কামিজের পসরা সাজিয়েছে ফ্যাশন হাউসগুলো। একটু মোটা কাপড়ের শার্ট এবং সালোয়ার কামিজ প্রস্তুত করা হয়েছে আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই। শার্টের মূল্য ৭৫০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা। সালোয়ার কামিজের মূল্য পড়বে ৯৫০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা। আর গর্জিয়াস কাজের সালোয়ার কামিজ পড়বে ১৮০০ টাকা থেকে ৪৫০০ টাকা এবং টপস্ ৮০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা। আবহাওয়ার সঙ্গে যদি পোশাকের মানানসই না ঘটে তাহলে অস্বস্তিতে ভুগতে হয়। সে অবস্থা থেকেই মুক্তি দিবে ঋতুভিত্তিক এ পোশাকগুলো। পোশাক : ইজি, ছবি : অরণ্য জিয়া মডেল : আদর ও আলিফ
×