ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হাতিবান্ধায় হাসপাতালের সামনে প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসব

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ১৩ মার্চ ২০২০

হাতিবান্ধায় হাসপাতালের সামনে প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসব

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্বরে ভ্যানে ওপর প্রসুতি মাসের সন্তান প্রসব। প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে সিজার করতে পাঠিয়ে দেয়া হয় বেসরকারি ক্লিনিকে। সন্তান প্রসবের সময় নার্স ও চিকিৎসকরা এগিয়ে আসেনি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চত্বরের সামনে। জানা গেছে, উপজেলার পুর্ব বিছনদই গ্রামে দিনমজুর রুহুল আমিনের মেয়ে মনিফা বেগম(২২) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রসববেদননা শুরু হয়। তাকে রাত ১০টায় ভ্যানযোগে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। প্রসুতি মা মনিফার ছোট ভাই রাকিব (১৫) হাসপাতালে ভর্তি করে। যার ভর্তি রেজি নং ৩৩৫৬/৫০ ও ওয়ার্ডে ভর্তি রেজি-১৪২৩। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর প্রসব বেদনা ফটফট করা প্রসুতিরকে কতব্যরত নার্স, আয়া ও চিকিৎসক কেউ সহযোগীতা করেনি। উল্টো ক্লিনিকে নিতে বলেন ডিউটিরত সিনিয়র স্টাফ নার্স তাহমিনা ও রঞ্জিলা বেগম। রাকিব তার বোনকে নিয়ে হাসপাতালের নিচে নেমে এসে রাত সাড়ে ১২টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্বরে এক মহিলার সহযোগিতায় ভ্যানের উপরেই মনিফার একটা ফুটফুটে ছেলে শিশুর জন্ম হয়। বাচ্চাটি বর্তমানে সুস্থ আছে। সরকারি মেডিকেলের নার্স ও ডাক্তারের কার্যকলাপ নিয়ে এলাকাজুড়ে ইতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠে। সরকারি মেডিকেলে ভর্তির প্রসববেদনায় কাতর একজন প্রসূতি মায়ের হাসপাতালে ভ্যানের ওপরে প্রসব হয়। এ নিয়ে ঘটনাটি লালমনিরহাট পুরো জেলার সবার মুখে চাউর হচ্ছে। পরে অবশ্য হাসপাতালে সদ্য জন্ম নেয়া শিশু ও মায়ের চিকিৎসা করা হয়। মা ও শিশু ভালো আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটিরত সিনিয়র স্টাফ নার্স তাহমিনা বেগম জানান, প্রসুতি মা মনিফা বেগম মেডিক্যালে ভর্তি করা হয। পরে রঞ্জিলা আপাসহ আমরা স্বাভাবিক প্রসবের অনেক চেষ্টা করেছি। তার জরায়ুর মুখ খোলা থাকলেও জরায়ুর বাহিরে কট প্রলাভ্স (ফুলের একটা অংশ) থাকায় ঝুকি নিতে সাহস পাইনি। এখানে সিজার হয় না। তাই ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেই। তবে কোন রেফার্ড (ছারপত্র) ছাড়া সরকারি হাসপাতাল হতে বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি একজন প্রসূতি মহিলা রাত ১২টার পর কিভাবে হাসপাতালের বাহিরে গেলো এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি নার্স তাহমিনা বেগম। হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার নাইম হোসেনের সাথে এবিষয়ে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে ফোন ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
×