ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অভিষেকেই তাক লাগানো বড় জয় বসুন্ধরা কিংসের

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ১১ মার্চ ২০২০

অভিষেকেই তাক লাগানো বড় জয় বসুন্ধরা কিংসের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ খেলাটা যদিও ছিল ক্লাব পর্যায়ের। কিন্তু আরেক দৃষ্টিকোণ দিয়ে বিচার করলে এটা ছিল বাংলাদেশ বনাম মালদ্বীপের ফুটবল লড়াইও বটে। আর সে লড়াইয়ে জয়ী বাংলাদেশের ফুটবলের নতুন পরাশক্তি বসুন্ধরা কিংস-ই। বুধবার এএফসি কাপে তারা গ্রæপ স্টেজের ই-গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ৫-১ গোলে শোচনীয়ভাবে বিধ্বস্ত করে মালদ্বীপের ট্রাস্ট এ্যান্ড কেয়ার ফুটবল ক্লাবকে (টিসি স্পোর্টস ক্লাব)। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের প্রথমার্ধে দ্য কিংস খ্যাত বসুন্ধরা ২-১ গোলে এগিয়েছিল। গত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে কিংসরা। অভিষেকেই বড় জয় কুড়িয়ে তাক লাগিয়ে দিল তারা। দুরন্ত খেলে উড়ন্ত জয়ে করলো শুভসূচনা। দারুণভাবে রাঙালো অভিষেকটা। আর সে রাঙানোর জন্য সবচেয়ে বড় অবদান যার, তিনি হার্নান বার্কোস। আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার কিংসের জার্সিতে আত্মপ্রকাশ করেন হ্যাটট্রিকসহ একাই ৪টি গোল করে। অপর গোলটি করেন দলনায়ক ড্যানিয়েল কলিনড্রেস। বসুন্ধরার পরবর্তী ম্যাচ আগামী ১৪ এপ্রিল মালে জাতীয় স্টেডিয়ামে। প্রতিপক্ষ মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস এ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব। সাম্প্রতিক সময়ে এএফসি কাপে এবং শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ আসরে মালদ্বীপের ক্লাবগুলোর কাছে বার বার হেরেছে বাংলাদেশের ক্লাবগুলো। বুধবার টিসিকে হারিয়ে অনেকদিন পর আবারও জয়ের ধারায় ফিরলো বাংলাদেশের একটি ক্লাব, যার নাম বসুন্ধরা কিংস। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক চারদিকে। তারপরও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে হাজির প্রায় হাজার পাঁচেক দর্শক। তাদের ৯৯ শতাংশই বসুন্ধরা কিংসের জার্সি পড়ে এসেছে। ম্যাচের আগের দিনই স্টেডিয়ামের বাইরে ও গ্যালারিতে এক এলাহি কাণ্ড করে বসুন্ধরা কিংস। গ্যালারিতে বিভিন্ন স্থানে ১৮টি ফুড কর্নার স্থাপন করে তারা। গ্যালারির নিচে পুরো মাঠ জুড়ে ১০০ নিরাপত্তাকর্মী এবং জনাদশেক স্বেচ্ছ্বসেবক নিয়োগ, খেলার স্কোরলাইন এবং খেলার সময় বোঝানোর জন্য দুটি জায়ান্ট স্ক্রিন স্থাপন, দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে ড্রেসিংরুমে যাতায়াতের জন্য চারটি টানেল স্থাপন, স্টেডিয়ামের বাইরে নিজেদের ক্লাবের বিভিন্ন সুভেন্যির বিক্রির জন্য নিজস্ব ভ্রাম্যমাণ ট্রাক পার্কিং করা ... এসব একমাত্র ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলেই দেখা যায়। ব্যতিক্রমী এই নজির স্থাপন করে আসলেই পেশাদার ক্লাবের কর্মকাণ্ডের পরিচয় দিয়ে নিজেদের নতুন করে চেনালো বসুন্ধরা গ্রুপ। খেলা শুরুর আগে উভয় দলই খেলে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। প্রথমার্ধে বসুন্ধরাই বেশি আক্রমণ করে খেলে। তারাই গোলের সুযোগ পায় বেশি। শুরুতে চাপে পড়লেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে টিসি স্পোর্টস নিজেদের গুছিয়ে নেয় এবং তারাও সুযোগ পেলেই আক্রমণ করার চেষ্টা করে।
×