ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পিডিদের প্রকল্প এলাকায় থাকতে হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৯ মার্চ ২০২০

পিডিদের প্রকল্প এলাকায় থাকতে হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, আমার পিডিরা (প্রকল্প পরিচালকরা) প্রকল্প এলাকায় থাকেন না। আমরা অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ করি। পুকুর খনন শিখতে উগান্ডায় যাচ্ছি কেন? এ কথা বলেই প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের ওপর প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। সোমবার (০৯ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ম্যানেজমেন্টে (বিআইএম) দুই দিনব্যাপী 'প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (পিএম আইসি) অব আইএমইডি' শীর্ষক ১৪তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সভা ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অহেতুক বিদেশ ভ্রমণে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক সময় দেখি তিনদিনের স্টাডি ট্যুরে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আমেরিকায় যাচ্ছেন। আমরা জানি আমেরিকায় যেতেই দুইদিন লাগে। তাহলে তিনদিনের ট্যুরে আমেরিকায় গিয়ে কী শিখছি? এসময় প্রকল্পের আওতায় বিদেশ ভ্রমণ, কেনাকাটা ও সাজসজ্জায় সাবধান হতে বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। পিডিদের এলাকায় না থাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এমএ মান্নান বলেন, প্রকল্প পরিচালকরা প্রকল্প এলাকায় না থেকে পারিবারিক কাজ কিংবা অন্যান্য কাজে ঢাকায় থাকেন। এ জন্যই হয়তো এই অর্থবছরে আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়নের হারও কমেছে। প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, কিছু বিষয় আমাদের নজরে এসেছে। তা হলো দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালকরা প্রকল্প এলাকায় থাকেন না। আমাদের দুর্ভাগ্য অধিকাংশ প্রকল্প পরিচালক ঘুরে বেড়ান। তাদের অনেক দায়-দায়িত্ব আছে, হয়তো তাদের ঢাকায় আসতে হয়। এগুলো নিয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখি হয়, জনগণও জানে। দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর নামে আমরা যা করি, এগুলোও মানুষের নজরে থাকে, এইটা আমাদের মনে রাখা উচিত। পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের টাকা সাবধানে খরচ করতে হবে। সময়মতো প্রকল্প শেষ করতে হবে। অপচয় রোধ করে প্রকল্প সময়মতো শেষ করবেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ বলেন, ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন হয় না। প্রথমবার দ্বিতীয়বার এমনকি তৃতীয়বারের মতো সংশোধন করা হয়। এতে প্রকল্পের খরচ বেড়ে যায়। ডিপিপি- এগুলো আপনারাই করেন। কিন্তু পরে আপনারাই বলেন, আগের ডিপিপি ফল্টি। এটা খুবই দুঃখজনক। এতে জানানো হয়, ১৪তম ব্যাচে ২৬ জন প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে (পিডি) প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে আরও ৪০টি ব্যাচের অধীনে ১০০ জন পিডিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ম্যানেজমেন্টের মহাপরিচালক তাহমিনা আখতার, আই এমইডির অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মান্নান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
×