ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নীলফামারীতে আগামীকাল ৩২ হাজার ক্ষুদে কবিদের সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৭ মার্চ ২০২০

নীলফামারীতে আগামীকাল ৩২ হাজার ক্ষুদে কবিদের সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারীতে আগামীকাল রবিবার অনুষ্ঠিত হবে ক্ষুদে কবিদের সম্মেলন ও পুরস্কার বিবতরণ অনুষ্ঠান। সেখানে মোড়ক উম্মোচন করা হবে ওই ক্ষুদে কবিদের লেখা কবিতা ও ছড়ার বইয়ের। সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হবে। পরে মুজিব বর্ষের লোগো দিয়ে বেলুন উড়াবেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, শিশু কথা সাহিত্যিক আখতার হুসেন, আলম তালুকদার, নাট্যকার ও অভিনয় শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী, শাহনাজ খুশি, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শায়েখ, শিশু সাহিত্যিক রমজান মাহমুদ, প্রথম আলোর উপ-সম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড ক্রিয়েটিভের সম্পাদক মাহবুব রেজা প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। ওই কবিতা, ছড়া লিখনে অংশ নিয়েছে ৩১ হাজার ৮০০ ক্ষুদে শিক্ষার্থী। তাদের লেখা থেকে বাছাই করে একটি বইয়ে ছাপানো হয়েছে ৫০০ কবিতা ছড়া। ২০১৫ সাল থেকে এ কাজটি করে আসছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিশন ২০২১। ওই কার্যক্রমে পুরাতন কবির সংখ্যা ৫৬ হাজার। এবারের অংশগ্রহনকারী সহ এ শহরে ক্ষুদে কবির সংখ্যা ৮৭ হাজার ৮০০। আয়োজন ঘিরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে চলছে সাজ সাজ রব। আজ শনিবার বিকালে শহীদ মিনার চত্ত্বরে গিয়ে দেখা গেছে অনুষ্ঠান ঘিরে মঞ্চ নির্মাণের শেষ সময়ের ব্যস্ততা। প্রবেশ দ্বারে তোরণ নির্মাণে কাজ করছেন শিল্পীরা। বিভাজন করা হচ্ছিল নারী শিশু ও বিভিন্ন স্তরের দর্শকদের বসার স্থানের। সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়কারী ওয়াদুদ রহমান সেখানে দিচ্ছিলিনে সাজ-সজ্জার নির্দেশনা। এসময় সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়কারী ওয়াদদু রহমান জানান, এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে স্বরচিত কবিতা-ছড়া। সেটি থেকে বাছাই করা ৫০০টি কবিতা-ছড়া ছাপানো হয়েছে একটি বইয়ে। ২০১৫ সালে শুরু করা হছিল এ কাজটি। সে বছর জমা পড়েছিল ১৬ হাজার কবিতা ছড়া। এরপর ২০১৭ সালে ১৮ হাজার, ২০১৮ সালে ২২ হাজার কবিতা জমা পড়েছিল। ২০১৯ সালে জমা হয়েছে ৩১ হাজার ৮০০। এসব কবিতা ছড়া লেখায় অংশ নিয়েছে জেলা সদরের ৪৪৫টি বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, আমরা চাই কবিতা-ছড়া লিখনের মধ্য দিয়ে শিশুদের জ্ঞান বিকাশের। অনুশীলনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক তারা। এ কাজে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ২০১৫ সালে ১৬ হাজার হলেও এবার পৌঁচেছে প্রায় দ্বিগুণে। জেলা সদরের বিভিন্ন বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে কবিতা এবং ছড়া লিখনে। অনুষ্ঠান সফল করতে ১৬ থেকে ১৮ হাজার ধারণ ক্ষমতার ওই অনুষ্ঠান স্থলে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে ৬০০ জন। স্থাপন করা হয়েছে ১২টি অস্থায়ী শৌচাগার, ১৫টি টিউবয়েল, থাকবে এক হাজার বিশুদ্ধ পানিয় জলের বোতল। থাকবে ১৫ হাজার শিশুর জন্য হালকা নাস্তার ব্যবস্থা।
×