ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধকে উজ্জীবিত করেছিল ॥ হুইপ ইকবালুর রহিম

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ৭ মার্চ ২০২০

৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধকে উজ্জীবিত করেছিল ॥ হুইপ ইকবালুর রহিম

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন ৭ মার্চ উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উৎসাহীত করেছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' আর সেই স্বাধীনতার সংগ্রামের শপথ নিয়েই মুক্তিযোদ্ধারা ঝাপিয়ে পড়েছিল পাক-হানাদার বাহীনির বিরুদ্ধে। তাই এ ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এ ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের গৌরব সম্মান আরেকবার আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে দিনাজপুর গোর এ শহীদ বড় ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ পরিবেশনা অনুষ্ঠানে একযোগে লাখোকন্ঠ গেয়ে উঠে সেই অগ্নিঝড়া ভাষণ। প্রধান অতিথির হুইপ ইকবালুর রহিম তার বক্তব্যে বলেন, একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীনতা পেত না। তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে এদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে হাটতো না। আগামীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে পরিনত হবে। ৭ মার্চের অনুষ্ঠানে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান, দিনাজপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাগফুরুল হাসান আব্বাসী, শহর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রায়হান কবীর সোহাগ, সাধারন সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজু প্রমুখ। এর আগে হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি দিনাজপুর জেলা প্রশাসন চত্বরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন। এছাড়া আওয়ামীলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন।
×