ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টু ক রো খ ব র

প্রকাশিত: ১২:০৮, ১ মার্চ ২০২০

টু ক রো  খ ব র

বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে এফটিএ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের মাধ্যমে পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি সম্ভব বলে মনে করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য বিমসটেকভুক্ত (বঙ্গোপসাগরীয় বহুমাত্রিক প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা) সদস্য দেশগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে মুম্বাইয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দুই দিনব্যাপী ‘বিমসটেক এক্সপো-২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের আঞ্চলিক বাণিজ্য টেকসই করতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে কার্যকর কৌশল গ্রহণ করতে হবে। ভোক্তাকে সহনীয় মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে বাণিজ্যের ব্যয় কমানো প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট সবাই এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করলে ভোক্তারা উপকৃত হবেন। তিনি আরও বলেন, বিমসটেক এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভূটানের বাণিজ্যে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। সদস্যভুক্ত দেশগুলো এ বিষয়ে কাজ করছে। বিমসটেক কার্যকরভাবে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে, সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। ইন্টিগ্রেটিং বিমসটেক-২০২০ এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে এবং ২০২৭ সালের পর আর এলডিসি দেশের বাণিজ্য সুবিধা পাবে না। বাংলাদেশ এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে পারস্পরিক দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। বাড়ছে চীনা পণ্যের দাম চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে গত ডিসেম্বর মাসে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশে শুরুতেই বেড়ে যায় চীনা রসুন, আদা ও দারুচিনির দাম। এবার বাড়ল শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন শিল্পপণ্য, নিত্যব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে পুরান ঢাকার পাইকারি ব্যবসাকেন্দ্রগুলোতে ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। কারণ, তাদের কাছে যে মজুদ আছে, তা শেষের পথে। নতুন করে আমদানির চালান কবে আসবে, তা অনিশ্চিত। এখানে উল্লেখ করা জরুরী যে বাংলাদেশে শিল্পের কাঁচামাল ও অন্যান্য পণ্যের বড় উৎস চীন। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৫ হাজার ৬০৬ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, যার ২৫ শতাংশ এসেছে চীন থেকে। অবশ্য রফতানিতে চীনের বাজার বাংলাদেশের জন্য ততটা বড় নয়। সর্বশেষ অর্থবছরে দেশের মোট রফতানি আয়ের ২ শতাংশ এসেছে চীন থেকে। পুরো দেশের শিল্পকারখানার খুচরা যন্ত্রাংশের বড় জোগান যায় পুরান ঢাকার নবাবপুর রোড থেকে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুচরা যন্ত্রাংশের সিংহভাগের উৎস চীন। এর পাশাপাশি তাইওয়ান, কোরিয়া, জাপান এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশ থেকে যন্ত্রাংশ আসে। পণ্যের মধ্যে হাজার হাজার রকম ও ধরন রয়েছে। এর মধ্যে চীন থেকে যা আসে, তার বেশির ভাগের দাম বাড়তি। অর্থনীতি ডেস্ক
×