ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম উপসর্গও সর্দি, কাশি ও জ্বর

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

করোনা  ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম উপসর্গও সর্দি, কাশি ও  জ্বর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো করোনা ভাইরাস রোগী পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার কারণে সর্বদা সতর্ক থাকা দরকার। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত বেশ কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। বিষয়টি খুব সিরিয়াস। সামান্য ভুলের কারণে বাংলাদেশে ভাইরাসটি প্রবেশ করলে সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট আয়োজিত “ করোনা ভাইরাস রোগ : বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট - আতঙ্ক,বাস্তবতা ও করণীয় ” শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম আবু সাঈদের সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক(উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, আইইডিসিআর’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম , মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. হারুন-অর-রশিদ, অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম শামসুল আলম, ডা. মো. গোলাম আযম প্রমুখ। ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্টের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কাজী রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. সারওয়ার ইবনে সালাম। করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস রোগী পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের মানুষ প্রতি নিয়ত সর্দি-কাশি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম উপসর্গও সর্দি কাশি জ্বর। তারপর দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। এই রোগের এখন পর্যন্ত প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। তবে আক্রান্তের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করতে হয়। এজন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিকিৎসা কার্যক্রম নিয়ে যেসব নানারকম বিষয় ছড়ানো হচ্ছে তাতে বিভ্রান্ত না হতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি। করোনা ভাইরাসের অজুহাতে সব সময় মাস্ক না পরার পরামর্শ দিয়ে আইইডিসিআর’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস রোগী নেই। তাই করোনা ভাইরাস আতঙ্কে মাস্ক পরার যৌক্তিকতা নেই। দূষিত পরিবেশগত কারণে মাস্ক পরতে পারেন। তবে অপরিচ্ছন্ন মাস্ক অনেক সময় অন্য সংক্রামক রোগের সহায়কা হতে পারে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন দেশবাসীর সামনে করোনা ভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত দক্ষতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে তুলে ধরছে আইইডিসিআর। সন্দেহজনক নমুনা পরীক্ষা করে এখন পর্যন্ত করো শরীরেই করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশও করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কের কিছুই নেই। বিষয়টি ইতোমধ্যে নানাভাবে দেশের সর্বত্র অবহিত করা করা হয়েছে। এটি খুবই সিরিয়াস বিষয়। অবহেলা করা যাবে না। দেশে প্রবেশ করলে সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করে অধ্যাপক ডা. হারুন-উর-রশিদ। মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসটি সংক্রমিত হচ্ছে। নির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকার কারণে চিকিৎসক থেকে শুরু করে ভাইরাস বিশেষজ্ঞরাও চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আরও জোরালো করার পাশাপাশি জনসচেতনতা জাগাতে হবে।
×