ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র আর অবশিষ্ট নেই ॥ প্রকাশ সিং বাদল

প্রকাশিত: ০১:১২, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র আর অবশিষ্ট নেই ॥ প্রকাশ সিং বাদল

অনলাইন ডেস্ক ॥ দিল্লির সহিংসতা নিয়ে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি’র সহযোগী আকালি দলের নেতা ও পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল প্রকাশ সিং ‘ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র আর অবশিষ্ট নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আজ (শুক্রবার) কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের শাসনামলে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। আকালি নেতা ও পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল বলেন, ‘আমাদের দেশের সংবিধানে তিনটি জিনিস উজ্জ্বল হয়ে আছে, তা হল ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’, ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘গণতন্ত্র’। কিন্তু এখানে ধর্মনিরপেক্ষতা বা সমাজতন্ত্র আর অবশিষ্ট নেই। ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে, দরিদ্র আরও দরিদ্র হয়ে উঠছে। গণতন্ত্রও মাত্র দুটি স্তরে থেকে গেছে, একটি হ'ল লোকসভা নির্বাচন এবং অন্যটি রাজ্য নির্বাচন, অন্য কিছু নয়।’ তিনি দিল্লির ঘটনাকে খুব দুর্ভাগ্যের বিষয় বলে উল্লেখ করে সবাইক শান্তিতে বাস করা খুব জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন। এরআগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরালের ছেলে ও আকালি দলের নেতা নরেশ গুজরাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে দিল্লির সাম্প্রতিক সহিংসতায় পুলিশের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নরেশ গুজরাল বলেন, প্রতিবার সহিংসতায় সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা দুর্ভাগ্যজনক! আকালী দলের নেতা নরেশ গুজরাল গতকাল (বৃহস্পতিবার) বলেন, আমরা ১৯৮৪ সাল ফের আসুক তা দেখতে চাই না। আমি দিল্লিবাসী হয়ে গর্বিত। গতবার (১৯৮৪ সালে) দিল্লিতে শিখরা আক্রান্ত হয়েছিল এবার মুসলিমরা। দুর্ভাগ্যক্রমে, প্রত্যেকবাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আক্রান্ত হয়েছে। ১৯৮৪ সালে শিখবিরোধী দাঙ্গা হয়েছিল। এই সময়ে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন। নরেশ গুজরাল বলেন, আমি ফোন করে দিল্লির মৌজপুর এলাকায় এক ঘরে আটকে থাকা ১৬ জন মুসলিম সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলাম এবং অপারেটরকে বলেছিলাম যে আমি সংসদ সদস্য। সকাল ১১ টা ৪৩ মিনিটে দিল্লি পুলিশ আমার অভিযোগের নম্বর ৯৪৯৬০৩ জানিয়ে নিশ্চিত করে। কিন্তু আমার অভিযোগের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি এবং ওই ১৬ জন ব্যক্তি দিল্লি পুলিশের কোনও সহায়তা না পাওয়ায় আমি হতাশ হয়েছি! যখন কোনও এমপির অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, তখন সাধারণ মানুষের কী হতে পারে? কোনও সভ্য ভারতীয় ১৯৮৪ সালের পুনরাবৃত্তি চায় না বলেও আকালি নেতা নরেশ গুজরাল মন্তব্য করেন।
×