ইবি সংবাদদাতা ॥ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বঙ্গবন্ধু পরিষদ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্র অনুমোদিত কমিটি বাইরে পরিষদের নামে নতুন আরেকটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ও কার্যক্রমের ফলে এ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বিভ্রান্তি নিরসনে ও নতুন সংগঠনের তৎপরতা বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় পরিষদ। পরিষদের প্রেস এন্ড মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্বে থাকা আনন্দ কুমার সেন স্বাক্ষর করা শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সংগঠন তৎপরতা বন্ধ না করলে উদ্ভুত যেকোনো পরিস্থিতির দায় এর সাথে জড়িতদেরকেই নিতে হবে বলেও হুশিয়ার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “৩১ জানুয়ারি ইবিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এ মালেক। এতে আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানকে সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। অনুমোনদের পর থেকেই কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুয়ায়ী কাজ করে আসছে তারা। কেন্দ্রীয় কমিটি গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ নির্বাচন কমিশন’ নামে একটি সংগঠন হঠাৎ করে তৎপরতা শুরু করেছে। পরে সংগঠনটি ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ (শিক্ষক ইউনিট) নামের আরেকটি সংগঠন সৃষ্টি করে তার জন্য নির্বাচন ঘোষণা করেছে। কে বা কারা, কি উদ্দেশ্যে এ ধরনের কমিটি গঠন করেছে ও তৎপরতা চালাচ্ছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি তা অবগত নয়। অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকার পরেও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নামে নতুন সংগঠনের কার্যক্রম হীন উদ্দেশ্য ও ব্যক্তি বা মহল বিশেষের স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় পরিষদ। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু পরিষদ (শিক্ষক ইউনিট) নামে দেশে পরিষদের কোনো শাখা নেই তাই এ ধরণের কোনো সংগঠনকে কেন্দ্রীয় পরিষদ স্বীকৃতি দেয়না।”
এ বিষয়ে আনন্দ কুমার সেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেক স্যার দীর্ঘদিন ধরেই চাচ্ছেন উভয় পক্ষ এক হয়ে কাজ করুক। কিন্তু অন্য পক্ষটি সম্মত না হয়ে, গায়ের জোরে নতুন একটি ইউনিট খুলেছে।’ প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু পরিষদ (শিক্ষক) নামক নতুন সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার বিষয়ে জানানো হয়। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ মার্চ তাদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
