ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আর ১৬ দিন

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 আর ১৬ দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুজিববর্ষ শুরু হতে বাকি আর ১৬ দিন। এরপরই শুরু হবে বছরব্যাপী মুজিববর্ষ উদ্যাপনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। এই দিন থেকেই শুরু হবে বছরব্যাপী মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান। উৎসব চলবে পরের বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত। লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে আগামী ১৭ মার্চ রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে মঞ্চ, প্যান্ডেল ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের মহাযজ্ঞে তুমুল ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকরা। শুক্রবার সকালে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ও জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড. মোঃ মাহফুজুর রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল এম সাঈদ হোসেন, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমসহ বাস্তবায়ন কমিটি, সেনা, বিমান, নৌবাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর ও সংস্থার উর্ধতন কর্মকর্তা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ। অনুষ্ঠানস্থলে স্থাপিত অস্থায়ী কার্যালয়ে দেয়া প্রেজেন্টেশন শেষে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে মুজিববর্ষ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে নবেম্বর মাসের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত লক্ষ্মীপুরের চর পোড়াগাছায় একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ ও তার প্রবেশ পথে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গুচ্ছগ্রাম এলাকার নির্ধারিত স্থানে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ ও আপগ্রেডেড গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি’ কর্তৃক উপস্থাপিত সুপারিশমালা, প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান, ত্রিমাত্রিক নক্সা এবং স্বতন্ত্র বাড়ির নক্সা বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, সাবেক পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্মারক গুচ্ছগ্রামের অভ্যন্তরে স্থানীয় জনগণের চলাচলের জন্য পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হবে। গ্রামের এক প্রান্তে একটি শিশু পার্কের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি চিন্তা করে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্যও প্রয়োজনীয় জায়গা রাখা হয়েছে। গুচ্ছগ্রামের বর্তমান মডেলের পরিবর্তে ভূমি মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু স্মারক গুচ্ছগ্রামের মডেলটি বাস্তবায়ন করবে বলে সভায় জানানো হয়।
×