ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আর ১৮ দিন

প্রকাশিত: ১০:২৪, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 আর ১৮ দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাকি আর ১৭ দিন। এর পরই শুরু হয়ে যাবে মুজিববর্ষ উদ্যাপন। আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচীর পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বহুমুখী কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও পিছিয়ে নেই। তারা নানা ধরনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক চারটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করবে। এর মধ্যে একটি ২০০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট। পরে তা প্রচলিত মুদ্রায় পরিণত হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১ জানুয়ারি থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে টমেটো চাষীদের মধ্যে ‘জিরো কুপন লেন্ডিং’ কর্মসূচীর আওতায় ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে রূপালী ব্যাংক। পাইলট প্রকল্প হিসেবে নাটোরের ৫শ’ টমেটো চাষীকে ৫০ হাজার টাকা করে ঋণ বিতরণ করেছে রূপালী ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৯-২০ অর্থবছরের কৃষি ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী এই পরিমাণ ঋণ দিয়ে কৃষক ১ দশমিক ২৯ একর জমিতে টমেটো চাষ করতে পারবে। রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, প্রাথমিক প্রকল্প হিসেবে টমেটো চাষীদের ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে সারাদেশের সকল শাখার মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষি পণ্যের চাষীদের মাঝে বিনা সুদে ঋণ বিতরণ করা হবে। আদা, হলুদ, পেঁয়াজ, আম চাষে বিনা সুদে ঋণ বিতরণ করা হবে। ঋণ প্রকল্পের নথি পর্যালোচনা করে দেখা দেছে, প্রতিটি ঋণের মেয়াদ থাকবে ছয় মাস। গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও রবি টমেটো চাষের জন্য বছরে দুইবার ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকটি। রবি চাষের জন্য ১৫ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর এবং গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই ঋণ বিতরণ করা হবে। রবি চাষের জন্য নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এবং গ্রীষ্মকালীন সময়ের জন্য নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৩০ নবেম্বরের মধ্যে। এই ঋণ সহায়ক জামানতমুক্ত। তবে স্বামী বা স্ত্রী অথবা গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তি ঋণের জামিনদার হিসেবে থাকবেন। কৃষককে দশ টাকার কৃষক হিসাবের মাধ্যমেই ঋণ উত্তোলন ও পরিশোধ করতে হবে। উৎপাদিত টমেটো বিক্রির অর্থের মাধ্যমে দৈনিক বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ঋণ বিতরণকারী শাখা কৃষকের দশ টাকার হিসাব থেকে ঋণের টাকা আদায় করতে পারবে। ঋণ বিতরণকারী শাখা, জোনাল অফিসের প্রতিনিধি ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত টিম চারা রোপণ থেকে শুরু করে ঋণ আদায় পর্যন্ত তদারকি করবেন বলে জানা গেছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দিবে সোনালী ব্যাংক। সারাদেশের কৃষকদের মধ্যে ভাল ঋণ গ্রহীতারা অন্তত ৫০ কোটি টাকার সুদবিহীন এ ঋণ পাবেন। সম্প্রতি পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। গেল অর্থবছরে স্বল্প সুদে ১২শ’ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে রাষ্ট্রায়াত্ত সোনালী ব্যাংক। এবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে কৃষকদের সুদমুক্ত ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ব্যাংকটি। কোন ধরনের কৃষকরা পাবেন এই সুদ মুক্ত ঋণ-তাও চূড়ান্ত করেছে ব্যাংকটি। ঋণ দেয়া হবে গবাদি পশুপাখি পালন, সবজি ও ফল চাষে। আগামীতে কৃষি ঋণ বিতরণ ও আদায়ে নতুন কয়েকটি পরিকল্পনা আছে বলেও জানায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
×