ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাফুফেকে স্বপ্নচূড়ার উকিল নোটিশ!

প্রকাশিত: ০৭:৩৮, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বাফুফেকে স্বপ্নচূড়ার উকিল নোটিশ!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বরাবর উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে ‘স্বপ্নচূড়া এ্যান্ড আক্কেলপুর ফুটবল একাডেমি ক্লাব।’ স্বপ্নচূড়া ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার কায়সার হামিদ এ নোটিশটি পাঠান। চার পৃষ্ঠার নোটিশটি বাফুফে ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যানকেও পাঠানো হয়। কায়সার হামিদ তার আইনজীবি ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ারের মাধ্যমে এটি প্রেরণ করেন। চলমান নারী ফুটবল লিগ থেকে স্বপ্নচূড়া ক্লাবকে বাদ দেয়াতেই মূলত আদালতের দ্বারস্থ হওয়া, বাফুফেকে উকিল নোটিশ প্রদান। ‘বাফুফের একগুঁয়েমি সিদ্ধান্তের শিকার স্বপ্নচূড়া- এমনটাই মনে করেন ক্লাব কর্তারা। উকিল নোটিশে বলা হয়েছে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের মাধ্যমে লীগ থেকে স্বপ্নচূড়াকে বাদ দেয়া হয়েছে। নারী ফুটবল কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড অবৈধ। বাফুফের এমন সিদ্ধান্তের শিকার স্বপ্নচূড়ার ২৩ নারী ফুটবলার। ক্ষুদে এ নারী ফুটবলারদের স্বপ্ন ভাঙার কোন অধিকার নেই বাফুফের। নোটিশপ্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার এর জবাব চাওয়া হয়েছে। সুষ্ঠ এবং সন্তোষজনক জবাব না পেলে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থার কথাও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কাজ হয়নি। ২৩ নারী ফুটবলারের চোখের জলে মন গলেনি বাফুফে কর্তাদের। নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল থেকেছেন তারা। ‘ক্লাবের আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব এই অভিযোগ এনে চলমান নারী ফুটবল লীগ থেকে বাদ দেয়া হয় সুনামগঞ্জের দল স্বপ্নচূড়া এ্যান্ড আক্কেলপুর ফুটবল একাডেমিকে! যদিও ক্লাব থেকে বার বার বলা হয়েছে নিজেদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নেই। তারপরও তাতে কর্ণপাত করেনি বাফুফে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের বরাবর লিখিত আকারেও সেটা জানিয়েছেন স্বপ্নচূড়ার সাধারণ সম্পাদক কায়সার হামিদ। কথা বলেছেন বাফুফের সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিনের সঙ্গেও। লীগে অংশ নিতে পারবেন না এই মর্মে গত ১২ ফেব্রুয়ারি স্বপ্নচূড়াকে চিঠি পাঠায় বাফুফে। বাফুফের প্রেরিত চিঠির জবাব দেয় স্বপ্নচূড়া ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই চিঠির সুদুত্তর না দিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি আরেকটি চিঠি পাঠায় বাফুফে। সেই চিঠিরও জবাব দেয় স্বপ্নচূড়া। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। লীগ শুরুর একদিন আগে স্বপ্নচূড়া ক্লাবের ফুটবলাররা দেখা করেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের সঙ্গে। তাতেও কাজ হয়নি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গেও দেখা করেন মেয়েরা। বাফুফের সব ধরনের নিয়ম মেনেই লীগে অংশ নেয়ার আবেদন করে স্বপ্নচূড়া। ২৩ ফুটবলারকে নিবন্ধনও করে। গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বাফুফেও প্রথমে দলটিকে লীগে খেলার অনুমতি দেয়। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে লীগ খেলার অনুমতি পাওয়া দলটি লীগ শুরুর ১০ দিন আগে লীগ থেকে বাদ পড়ে। সুনামগঞ্জ ও জয়পুরহাটের কর্মকর্তারা এক হয়ে স্বপ্নচূড়া এ্যান্ড আক্কেলপুর ফুটবল একাডেমি নামে মহিলা ফুটবল লীগে অংশ নিতে চেয়েছিল। দলবদলেও অংশ নেয়। ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলার ২৩ খেলোয়াড় নিয়ে ঢাকায় এসে অনুশীলনও আরম্ভ করেছিল তারা ২৫ জানুয়ারি থেকে। কিন্তু তাদের কপাল পোড়ে নিজেদেরই কিছু অনাকাক্সিখত কর্মকাণ্ডে।
×