ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশখালীতে হুজুর কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বাঁশখালীতে হুজুর কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ চট্টগ্রাম বাঁশখালীর পৌর সদরে হেফজখানায় হুজুর কর্তৃক এক ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়াগেছে। ধর্ষক হাফেজ জমির উদ্দিন (২৮) নামের বিবাহিত ওই ব্যক্তিতে পিটুনি দিয়ে পুলিশে হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। বুধবার দুপুরে ওই ধর্ষক পালানোর সময় বাঁশখালী পৌরসভার জঙ্গল জলদি এলাকা থেকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রাম বাসিরা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্ররুয়ারী) বিকালে বাঁশখালী থানায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ঐ হুজুরকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এজাহার দায়ের করেছে। ছাত্রী ধর্ষনের সত্যতা শিকার করে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক জমির উদ্দিনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধর্ষক জমির উদ্দিন বাঁশখালী পৌরসভার একটি কোরআন শিক্ষা মাদ্রসার শিক্ষক ছিলেন। তিনি দুই সন্তানের জনক। তার বাড়ি বাঁশখালী পৌরসভার ভাদালিয়া গ্রামে। ধর্ষনের শিকার শিশুটি একই মাদ্রাসার ছাত্রী ছিলেন। ধর্ষণের শিকার শিশুটির রিকশাচালক পিতা বলেন, স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর পর মেয়েকে বাড়ির কাছের একটি কোরআন শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিই। ১৫ দিন পূর্বে মাদ্রাসাটির কক্ষের একপাশে জোর করে নিয়ে গিয়ে মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে তারই শিক্ষক জমির। মেয়েটি ভয়ে বিষয়টি পরিবারের কাউকে জানায়নি। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি সে জানায়। তিনি আরো বলেন, সত্যতা নিশ্চিত করতে মাদ্রাসাটিতে গিয়ে শিক্ষক জমির উদ্দিনের খোঁজ করা হয়। খোঁজ করতে গিয়ে আমাদের দেখে সে কাদাযুক্ত ধান ক্ষেতের পথ ধরে দৌড় দেয়। ধাওয়া দিয়ে এলাকার লোকজন জমিরকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে খবর দেন।
×