ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রিয়ালের মাঠে সিটির দারুণ জয়

প্রকাশিত: ০০:০৮, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

রিয়ালের মাঠে সিটির দারুণ জয়

অনলাইন ডেস্ক ॥ গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর রিয়াল মাদ্রিদকে কাঙিক্ষত গোল এনে দিলেন ইসকো। গাব্রিয়েল জেসুসের গোলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো ম্যানচেস্টার সিটি পরে স্পট কিক থেকে গেলো এগিয়ে। সান্তিয়াগো বের্নাবেউ থেকে দারুণ জয় নিয়ে ফিরল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বুধবার রাতে ২-১ গোলে জিতেছে সিটি। রিয়ালের বিপক্ষে এই প্রথম ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় জিতল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই দলের আগের চার দেখায় নিজেদের মাঠে দুই ম্যাচে জিতেছিল রিয়াল। সিটির মাঠে দুই ম্যাচ হয়েছিল ড্র। রাহিম স্টার্লিং ও সের্হিও আগুয়েরোকে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান পেপ গুয়ার্দিওলা। জিনেদিন জিদানের সেরা একাদশে ঠাঁই পাননি ওয়েলসের ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেল। শুরু থেকে রক্ষণ জমাট রেখে খেলতে থাকা সিটি প্রথম ভালো সুযোগটি পায় ২১তম মিনিটে। কেভিন ডে ব্রুইনের ডিফেন্স চেরা পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গাব্রিয়েল জেসুসের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান থিবো কর্তোয়া। উয়েফার নিষেধাজ্ঞা, প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা বলতে গেলে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া-কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়া সিটির গোলশূন্য প্রথমার্ধে এটাই ছিল সেরা সুযোগ। সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে ড্র আর লেভান্তের মাঠে হেরে লা লিগায় হঠাৎ পথ হারানো রিয়ালের খেলাতেও ছিল না চেনা ধার। বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও ২৯তম মিনিটে প্রথম উল্লেখ করার মতো আক্রমণে যায় দলটি কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি। বাঁ দিক থেকে ফেরল্যান্ড মেন্ডের ক্রসে করিম বেনজেমার হেড গোলরক্ষক এদেরসন ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। কিন্তু সামনে থাকা ভিনিসিউস জুনিয়ারও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বড় বাঁচা বেঁচে যায় রিয়াল। ডে ব্রুইনের কর্নারে কর্তোয়া লাফিয়ে উঠে গ্লাভস ছোঁয়ানোর পর পেয়ে যান জেসুস, সিটির এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শট রামোসের পায়ে লেগে গোলমুখে যাওয়ার পথে কাসেমিরো টোকা দেওয়ার পর বিপদমুক্ত করেন ফেদেরিকো ভালভেরদে। রিয়ালের এই তিনজনই ছিলেন গোললাইনে পাহারায়। ৬০তম মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে ভিনিসিউস জুনিয়রের নিখুঁত পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন ফাঁকায় থাকা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ইসকো। ৭২তম মিনিটে বের্নার্দ সিলভাকে তুলে নিয়ে স্টার্লিংকে নামায় সিটি। রিয়াল ভিনিসিউস জুনিয়রের বদলি নামায় বেলকে। ছয় মিনিট পর সমতার স্বস্তি ফেরে সিটির তাবুতে। বাঁ দিক থেকে ডে ব্রুইনের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন জেসুস। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের সামনে থাকা রিয়াল অধিনায়ক রামোস লাফিয়ে উঠেও বলের নাগাল পাননি। ৮২তম মিনিটে স্পট কিক থেকে সিটিকে এগিয়ে নেন ডে ব্রুইনে। ডি বক্সে স্টার্লিংকে কারভাহাল ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। রিয়ালের খেলোয়াড়দের দাবির মুখে ভিএআর দেখলেও বদলায়নি সিদ্ধান্ত। শেষ দিকে আরেকটি ধাক্কায় রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়। ভুল পাস থেকে বল পেয়ে জেসুস ছুটছিলেন রিয়ালের গোলমুখে। তাকে পেছন থেকে টেনে ধরে সরাসরি লালকার্ড দেখেন রামোস। রিয়ালের হয়ে বর্ণিল ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ২৬তম বারের মতো লালকার্ড দেখলেন এই ডিফেন্ডার। আগামী ১৭ মার্চ ফিরতি লেগে সিটির মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল।
×