ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

বৈচিত্র্যের মেলা ও ঐকতান বকুলতলায় শনিবার শুরু

প্রকাশিত: ১১:২১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বৈচিত্র্যের মেলা ও ঐকতান বকুলতলায় শনিবার শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানুষে মানুষে সম্পর্ক স্থাপন, সামাজিক মিলন ও ঐকতান সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে দিনব্যাপী বৈচিত্র্য মেলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। এতে দেশের বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে গানের দল মাদল ও আইইডি। ইউএনডিপির পার্টনারশিপ ফর এ টলারেন্ট এ্যান্ড ইক্লুসিভ বাংলাদেশ (পিটিআইবি) প্রকল্পের ডাইভারসিটি ফর পিসের সহায়তায় কনসার্ট ফর ডাইভারসিটি প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হবে এ বৈচিত্র্যের মেলা ও বৈচিত্র্যের ঐকতান। এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন হয় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বুধবার বিকেলে। এতে উপস্থিত ছিলেন মাদলের সমন্বয়কারী আদিবাসী নেতা আইইডির সহকারী সমন্বয়কারী হরেন্দ্রনাথ সিং, সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, মাদলের ড্রামার শিল্পী এ্যান্থোনি রেমা ও তারিখ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মদ খান। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা বলেন, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জাতির চিরায়ত ও ঐতিহ্যপূর্ণ অতিথি বরণ, বর্ণাঢ্য উদ্বোধন, শিশু চিত্রাঙ্কন, বিশিষ্ট চারুশিল্পীদের অংশগ্রহণে ছবি আঁকা, নাচ, গান, অভিজ্ঞতা ও সৌহার্দ্য বিনিময়, কিশোরীদের কারাতে প্রদর্শন, বাদ্যযন্ত্র প্রদর্শনী, কনসার্টসহ নানা আয়োজন থাকছে। গানের দল ‘মাদল’ ও আইইডির এ আয়োজনে ৯টি দল সঙ্গীত পরিবেশন করবে। দেশী-বিদেশী বরেণ্য ব্যক্তি, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীসহ সংস্কৃতিজন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, খেলোয়াড়, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, নারীনেত্রী ও সমাজসক্রিয়জনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা ও জাতির মানুষের অংশগ্রহণে চারুকলা হয়ে উঠবে বৈচিত্র্যের মিলনমেলা। ইউএনডিপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ঢাকাস্থ দেশী-বিদেশী সংস্থার প্রতিনিধিরা আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দবানের ¤্রাে সাংস্কৃতিক দলের বাঁশির মূর্ছনায় শুরু হবে অনুষ্ঠান। সকাল ১০টায় বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন অতিথিরা। এরপর বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হবে। সোয়া ১০টায় অতিথিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে রাখিবন্ধন ও গামছা বন্ধন। পরে পরিবেশিত হবে সৌহার্দ্যরে গান। সকাল সাড়ে ১০টায় শিশু চিত্রাঙ্কনে অংশগ্রহণ করবে খেলাঘর আসর, নালন্দা উচ্চ বিদ্যালয় ও বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে থাকবে বিশিষ্ট চারুশিল্পীদের অংশগ্রহণে ছবি আঁকা। সভাপতি আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মদ খান বলেন, আমরা মনে করি যে যেখানেই থাকি না কেন প্রত্যেকেই কিন্তু এদেশের নাগরিক। এ পৃথিবীর মানুষ হিসেবে আমাদের কিছু দায়বদ্ধতা আছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে আমরা মনেকরি সকলের প্রতি সম্মান মর্যাদার প্রয়াস যেন থাকে। সেই চেষ্টা নিয়ে আমরা প্রতি বছরের মতো এই আয়োজন করে থাকি। এখানে শুধুমাত্র আলোচনা নয়, সাংস্কৃতিক কর্মকা-ও থাকবে। এবিএম মূসা স্মারক বক্তৃতা এবিএম মূসা বাংলাদেশের ইতিহাসে সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। সাংবাদিকতায় সত্য কথা বলতে অনেকেই ভয় পায়, কিন্তু তিনি ভয় পাননি। সাহসিকতার পাশাপাশি তার সাংবাদিকতায় মানবিক মূল্যবোধও ফুটে উঠেছে। তাই তিনি আমাদের চোখে এক অনুকরণীয় সাংবাদিক। সাংবাদিক এবিএম মূসার ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত আজীবন সম্মাননা ও স্মারক বক্তৃতা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। এবিএম মূসা সেতারা মূসা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রথম আলোকচিত্র সাংবাদিক সাইদা খানমের হাতে আজীবন সম্মাননা ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ‘মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা করেন অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। সভাপতিত্ব করেন প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ। বক্তব্য রাখেন মরিয়ম সুলতানা মূসা রুমা, ব্যারিস্টার মোঃ আফতাব উদ্দিন, অধ্যাপক ড. শারমিন মূসা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, এবিএম মূসা একজন অনুকরণীয় সাংবাদিক। তিনি সাংবাদিকতায় যে সাহস ও মানবিকতা দেখিয়েছেন তা সত্যিই অনন্য। দ্বিতীয় এবিএম মূসা আর হবে না। পত্রিকার কাজ নিছক খবর প্রকাশ নয়, সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার যে বিষয়, এর অঙ্গসজ্জা এবিএম মূসা সে কাজটা করেছেন। সাংবাদিকতা যে শুধু পেশা নয়, এর একটি মানবিক গুণ আছে, এবিএম মূসার সাংবাদিকতায় তা ফুটে উঠেছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনে সাংবাদিকদের যে ভূমিকা ছিল, সেখানে এবিএম মূসার কী অবদান তা লিপিবদ্ধ করতে হবে। আমার মতে স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫০ ভাগ কাজ করেছিলেন সাংবাদিকরা। এবিএম মূসাকে আমরা হয়তো ভুলে যাবো, যেমন ভুলে গেছি আকরাম খান ও মানিক মিয়াকে। সত্যিই কি আমরা এবিএম মূসার প্রতি সেই সম্মান জানাতে পেরেছি এই ছোট্ট পরিসরে? সত্য এখন নিখোঁজ হয়ে গেছে। সত্য বলার সাহস সমাজ হারিয়ে ফেলছে। জবিতে ‘বসন্ত উৎসব’ জবি সংবাদদাতা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বসন্ত উৎসব উদযাপিত হয়েছে। উৎসবের ২য় দিন বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে ‘বসন্ত উৎসব’কে ধারণ করে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্যরা গান, নাচ, আবৃত্তি পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উপদেষ্টা চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বজলুর রশিদ খান। উৎসবের ১ম দিন মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে থেকে শুরু হয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিংয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি ফাইয়াজ হোসেন ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাহাদী সেকেন্দার।
×