ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দশমিনায় যুবদল-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ১৫, আটক ২১

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দশমিনায় যুবদল-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ১৫, আটক ২১

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা/নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ও বাউফল ॥ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদরে মঙ্গলবার যুবদলের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার পুলিশসহ যুবদলের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ যুবদলের ২১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০-১২ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বেলা ১১ টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ দাবি করেছে, অনুমতি ছাড়া সভা অনুষ্ঠানে নিষেধ করায় যুবদলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১১টার দিকে যুবদল প্রথমে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে কর্মীসভার কাজ শুরু করে। অনুমতি ছাড়া সভা করার বিষয়ে পুলিশ আপত্তি জানায়। এরপর যুবদল কর্মীরা উপজেলা পরিষদ এলাকায় সোনালী ব্যাংকের পিছনে একটি বাউন্ডারী দেয়া বাসার মধ্যে কর্মীসভা শুরু করে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন থেকে ৭-৮শ নেতাকর্মী ও সমর্থক কর্মী সভায় যোগ দেয়। দশমিনা উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোমেন তালুকদারের সভাপতিত্বে শুরু হওয়া কর্মী সভায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি আজিজুল হক আরজু, আক্তারুজ্জামান শামীম, সহ সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, বরিশাল বিভাগীয় যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদিক এ্যাডভোকেট পারভেজ আকন, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক তৈফিক আলী খান কবির, সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, শিপলু খান ও জেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লব উপস্থিত ছিলেন। সভা শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে দশমিনা পুলিশ এতে বাধা দেয়। এনিয়ে উভয় পক্ষে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। যা এক পর্যায়ে মারমুখী আকার নেয়। পুলিশ এলোপাতাড়ি লাঠি চার্জ শুরু করে। যুবদলের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০-১২ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে চার পুলিশসহ যুবদলের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়। উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোমেন তালুকদার অভিযোগ করেন, পুলিশের অতর্কিত লাঠিচার্জের হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলার নেতারা স্থানীয় আলম মানুর বাসায় আশ্রয় নিলে পুলিশ সেখানে গিয়ে তালা ভেঙ্গে তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, তারা কর্মীসভার অনুমতির জন্য দশমিনা থানার ওসির কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছিলেন। তাদের কাছে আবেদনের রিসিভ কপিও রয়েছে। এ ব্যাপারে দশমিনা থানার ওসি জালাল উদ্দিন জানান, ঘটনার সময়ে তিনি পটুয়াখালী জেলা পুলিশের মিটিংয়ে ছিলেন। যুবদল কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের খবর শুনেছেন। পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ মঈনুল হাসান জানান, দশমিনায় বিনা অনুমতিতে যুবদল সমাবেশ ডাকলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় যুবদল নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ২১ জনকে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
×