ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কুষ্টিয়ায় মা’কে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০২:২০, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

কুষ্টিয়ায় মা’কে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ায় নিজ গর্ভধারিনী মা, বানেরা খাতুন ওরফে বানুকে (৪৫) হত্যার দায়ে ছেলেকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এক জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষনা করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ওই আসামির নাম জুয়েল সরদার ওরফে জুয়েল রানা (৩০)। সে দৌলতপুর উপজেলার আংদিয়া গ্রামের আজিজুল সরদারের ছেলে। তাকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে দন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালত সূত্র জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ২০১৮ সালের ২৩ সেস্টেম্বর দুপুরে দৌলতপুর উপজেলার আংদিয়া গ্রামে নিজ বসতবাড়িতে মামলার বাদী আজিজুল সরদারের স্ত্রী বানেরা খাতুন ওরফে বানুকে হাসুয়া ও কোদালের ধারালো অংশ দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে তাদেরই সন্তান আসামি জুয়েল সরদার ওরফে জুয়েল রানা। এ ব্যাপারে পরদিন দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি জুয়েল সরদারের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। একই বছরের ১৯ জুন আদালতে আসামির বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৫ জন সাক্ষীর দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে আনীত গর্ভধারিনী মাকে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হলে আদালত জুয়ের সরদারকে মৃত্যু দন্ডাদেশ এবং সেই সাথে তার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ দেন। রায়ের পর্যবেক্ষনে উল্লেখ করা হয়, নিজের গর্ভধারিনী মাকে হত্যা করে আসামি জুয়েল রানা ওরফে জুয়েল সরদার শুধু নৃশংসতাই প্রদর্শন করেনি। সে মানবতার শিঁকড়ে আঘাত করেছে। ফলে আসামি সাম্প্রতিক সময়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল এ কারণেই তার প্রতি অনুকম্পা দেখানোর কোন সুযোগ নেই। বরং মাকে নৃশংসভাবে হত্যাকারী আসামি জুয়েল সরদারকে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদানযোগ্য। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করে পিপি এ্যাভোকেট অনুপ কুমার নন্দী। অপরদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট আব্দুল মোতালেব।
×