ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুরুষের পাশাপাশি নারী কর্মী নেয়ার আলোচনা হবে

প্রকাশিত: ১০:২১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 পুরুষের পাশাপাশি নারী কর্মী নেয়ার আলোচনা হবে

ফিরোজ মান্না ॥ কর্মী নিয়োগের বিষয়ে কাল বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এই বৈঠক থেকে চূড়ান্ত হবে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে কোন্ প্রক্রিয়ায় কতসংখ্যক কর্মী নেবে। পুরুষ কর্মীর পাশাপাশি নারী কর্মী নেয়ার বিষয়েও বৈঠকে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। এ কারণেই বৈঠকটি দুই দেশের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এর আগে রবিবার ঢাকায় দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে ওই বৈঠক শেষে দুই মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বন্ধ শ্রমবাজার শীঘ্রই চালু হচ্ছে। এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বুধবার যৌথ ওয়ার্কি কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত হবে ঠিক কি প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করবে। এখানে পদ্ধতিগত বিষয়টির ওপর বেশি গুরুত্ব দেবে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে। আগের নিয়মে কর্মী নিয়োগের বিষয়টি উঠে এলে বাংলাদের পক্ষ থেকে তা নাকচ করার প্রস্তাব দিতে পারেন। কারণ সিন্ডিকেট করে কর্মী পাঠানোর পক্ষে অবস্থান পরিবর্তন করেছে প্রবাসী কলাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় চায় বেশির ভাগ জনশক্তি রফতানি কারক প্রতিষ্ঠানই যাতে কর্মী নিয়োগে অংশ নিতে পারে। অল্প কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ হলে ‘মনোপলি’ ব্যবসা করে নেয়ার অভিজ্ঞা তুলে ধরা হবে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর বিষয়টি প্রতিস্থাপন হলে বিপুল সংখ্যক কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানাবেন। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া আবারও কর্মী নিয়োগের আগের পদ্ধতি বিষয়টি সামনে নিয়ে আসতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সাফ জবাব থাকবে সিন্ডিকেট করে কর্মী পাঠানো হলে কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কর্মী পাঠানোর বিষয়টি যেন সব জনশক্তি রফতানিকারকদের উন্মুুক্ত করা হয়। তাহলে প্রতিযোগিতামূলকভাবে কর্মীরা পরিস্থিতিতে কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন। সিন্ডিকেট হলে বড় অঙ্কের টাকা ব্যয় করে মালয়েশিয়া যেতে হয়। এ কারণেই মঙ্গলবারের পরিবতে বুধবার যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদল বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নেয়ার জন্য বৈঠক একদিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। রবিবারের বৈঠক শেষে মন্ত্রী ইমরান আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়া শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে শুরু থেকেই মালয়েশিয়ার মন্ত্রী কুলাসেগারান এবং আমি একমত ছিলাম। আমরা আনন্দিত যে বাজারটি উন্মুক্ত হওয়ার পথে। তবে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বুধবার জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। এই বৈঠক মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কোন পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করা হবে তাও নির্ধারণ হবে বুধবারের বৈঠকে। মালয়েশিয়ায় পুরুষ কর্মী পাঠানোর পাশাপাশি নারী কর্মী প্রেরণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে মন্ত্রী পর্যায়ের ওই বৈঠকে। শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত হলে এখন থেকে দেশটিতে নারী কর্মীও পাঠাবে বাংলাদেশ। বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী কুলাসেগারান বলেন, বাংলাদেশের জন্য এই শ্রমবাজারটি শীঘ্রই চালু হবে। তবে এক্ষেত্রে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করা হবে। আর মন্ত্রিপরিষদে এটি গৃহীত হলে শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোন বাধা থাকবে না। বৈঠকে মালয়েশিয়ায় অবৈধ বাংলাদেশী কর্মীদের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মালযেশিয়ার মন্ত্রী এম কুলাসেগারান বলেন, এটা আমার দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদারকি করছে। এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিবেন।
×