ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এক অঙ্কে ঋণ বিতরণের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৯:২০, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

এক অঙ্কে ঋণ বিতরণের নির্দেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরণের ঋণের সুদ এক অংকে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এই সুবিধায় ঋণ পাওয়ার পর খেলাপি হলে ২ শতাংশ হারে জরিমানা গুণতে হবে। তবে ৬ শতাংশে আমানত সংগ্রহণের কোন বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বর্তমানে ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বৃহৎ শিল্পসহ ব্যবসা ও সেবা খাতের বিকাশে প্রধান অন্তরায় হিসাবে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক ঋণের সুদহার বেশি হলে শিল্প, ব্যবসা ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে শিল্প, ব্যবসা ও সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ কখনো কখনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। যথাসময়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যার্থ হয় গ্রাহক। এর ফলে ব্যাংকিং খাতে ঋণ শৃঙ্খলা বিঘিœত হয় এবং সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে অধিক সক্ষমতা অর্জন, শিল্প ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, ঋণ পরিশোধে সক্ষমতা এবং কাঙ্খিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে নিচের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে: (ক) ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত অন্যান্য সকল খাতে অশ্রেণিকৃত ঋণ এর উপর সুদ হার সর্বোচ্চ ৯% নির্ধারণ করা হলো। (খ) কোন ঋণের উপর উল্লিখিতভাবে সুদহার ধার্য করার পরও যদি সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহিতা খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয় সেক্ষেত্রে যে সময়কালের জন্য খেলাপি হবে অর্থাৎ মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে খেলাপি কিস্তি এবং চলতি মূলধন ঋণের ক্ষেত্রে মোট খেলাপি ঋণের উপর সর্বোচ্চ ২% হারে দন্ড অতিরিক্ত মুনাফা আরোপ করা যাবে। (গ) প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের বিদ্যমান সর্বোচ্চ সুদহার ৭% অপরিবর্তিত থাকবে। চলতি বছর থেকে ব্যাংকের মোট ঋণ স্থিতির মধ্যে এসএমই’র ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ শিল্প খাতে প্রদত্ত সকল ঋণের স্থিতি অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৩ বছরের গড় হারের চেয়ে কোনভাবেই কম হতে পারবে না। নির্দেশনাটি ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
×