ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আর ২২ দিন

প্রকাশিত: ১১:২০, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আর ২২ দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেখতে দেখতে শেষ হচ্ছে দিনগণনা। বাকি আর ২২ দিন। এরপরই সূচনা হবে মুজিববর্ষের। আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। বড় উপলক্ষ বলেই পরের বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত টানা উদযাপন করা হবে। অবশ্য তারও আগে থেকে বেশকিছু আয়োজন চলমান আছে। এই যেমন, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রতিদিনই আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ সেমিনার। সে ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলে মেলা মঞ্চে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : বহুমাত্রিক বিশ্লেষণ’ বইয়ের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রবন্ধ পাঠ করেন মফিদুল হক। আলোচনা করেন ড. সোনিয়া নিশাত আমিন, গোলাম কুদ্দুছ এবং মামুন সিদ্দিকী। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ। প্রাবন্ধিক বলেন, মুজিব শতবর্ষে বিশ্লেষণ, পর্যবেক্ষণ, বিচার-বিবেচনার যে ভূমিতে দাঁড়িয়ে ইতিহাসের নিবিড় ও গভীর পাঠ আমাদের কাম্য তার এক উদাহরণ হতে পারে ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে প্রণীত বর্তমান গ্রন্থ। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই শ’ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থ একান্তভাবে ৭ মার্চের ভাষণ ঘিরে আবর্তিত, তবে প্রায় দেড় দশক জুড়ে নিয়মিত বার্ষিক এই বঙ্গবন্ধু চর্চায় রয়েছে ধারাবাহিকতা এবং পরিবর্তনময়তা, সেই সঙ্গে নানা দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্লেষণ-পদ্ধতি অনুসরণ করে ৭ মার্চের ভাষণ পর্যালোচনার প্রয়াস। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের উদ্দীপক ভূমিকা নিয়ে যেসব লেখালেখি রয়েছে তা এর সার্থকতারই প্রকাশ। অন্য আলোচকরা বলেন, বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে আজীবন আপোসহীন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার মূলমন্ত্র উচ্চারিত হয়েছিল। শিল্প ও সংস্কৃতির নানা উপাদান সমৃদ্ধ এই অসাধারণ ভাষণ শুধু বাঙালী নয় বিশ্বের যে কোন ভাষার মানুষকে রোমাঞ্চিত করে। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু তার সামগ্রিক রাজনৈতিক দর্শনকে তুলে ধরেন। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয় হাজার বছরের নিষ্পেষণ ও বঞ্চনার শিকার বাঙালী জাতির প্রতিবাদী উচ্চারণ। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ জাতি গঠনের কাজে চিরদিন আমাদের উজ্জীবিত করে যাবে।
×