নিজম্ব সংবাদদাতা,বাঁশখালী ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা হতে কুতুবদিয়া দরবারে বার্ষিক ওরশ শরীফ যাওয়ার পথে গন্ডামারা খাটখালী সাগর মোহনায় ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোজ ৩ জনের মধ্যে ২জনের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এখনো পর্যন্ত স্কুল ছাত্র আরমানের হদিস মিলেনি। শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে বঙ্গোপসাগরের বাহারছড়া ইউনিয়নের চুনুতি বাজার হালিয়া পাড়া এলাকায় মোঃ লেদু মিয়া(৫২) ও আজ শনিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিমে সাগরের পানিতে ভেসে উঠে নিখোঁজ মোঃ জালাল উদ্দিনের লাশ। এদিকে উদ্ধারকারী স্থানীয় মাঝি মল্লারদল শুক্রবার রাতে মোঃ লেদু মিয়ার লাশ নিহতের পরিবারকে পুলিশের উপস্থিতে হস্তান্তর করে। শনিবার বিকালে উদ্ধার হওয়া মোঃ জালাল উদ্দিনের লাশ নিয়ে উদ্ধারকারী ফিশিং বোট তার বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া মৃত ব্যক্তির লাশ ২টি খানখানাবাদ ইউপির ডোংরা গ্রামের মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র লেদু মিয়া(৫২) ও একই ইউপির কদম রসূল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র মোঃ জালাল উদ্দিন(৩২) বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নৌকা ডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬এ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের খাটখালী মোহনা সহ আশপাশের সাগর এলাকায় স্থানীয় মাঝিমাল্লাদের নিয়ে ৫টি ফিশিং বোট স্কুল ছাত্র মোঃ আরমানের(১৬) সন্ধানে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন উপজেলার খানখানাবাদ ইউপির ডোংরা গ্রামের হাসান শরীফের পুত্র স্কুল পড়–য়া ছাত্র মোঃ আরমান (১৬)।
উল্লেখ্য গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) কাথরিয়া থেকে সকাল ৯টায় ও খানখানা বাদ থেকে সকাল ১০ টায় কুতুবদিয়ার দরবারের উদ্দেশ্যে বোট দুটি রওনা দেন। ১১টার দিকে কাথরিয়া জলকদর খালে ও গন্ডামারার খাটখালী মোহনায় সংগঠিত পৃথক ট্রলার ডুবির ঘটনা দুটি ঘটে। ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৪জনের মৃত্যু ও অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনা ঘটেছিল। তাছাড়া নিখোঁজ ছিল ৩ জন।এর মধ্যে শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ১ বৃদ্ধার লাশ ও শনিবার বিকাল ৪টায় ১ যুবকের লাশ উদ্ধার হওয়ায় নিখোঁজের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১এ। নিখোঁজের সন্ধানে ৫টি ফিশিং বোট নিয়ে স্থানীয়ভাবে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা।
