বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি : আইইডিসিআর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের ৮২ শতাংশ স্বল্প ঝুঁকিতে থাকে। আক্রান্তদের ১৫ শতাংশের অবস্থা কিছুট্ খারাপ অবস্থায় থাকে। মাত্র ৩ শতাংশের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়, যাদের আইইসিইউ’তে রাখার দরকার পড়ে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। কোয়ারেন্টিনকৃত উহান ফেরত ৩১২ জন যাত্রী সুস্থ আছেন। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের ৫ নাগরিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, যাদের একজন এখন পর্যন্ত আইসিইউ’তে আছেন এবং আরো ৫ নাগরিককে রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টিনে। করোনা ভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার আইইডিসিআর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নিয়মিত অবহিতকরণ সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরা এসব কথা বলেন। বিশ্বের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিশ্বে সর্বমোট সনাক্তকৃত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৫,৭৪৮ এবং গত ২৪ ঘন্টায় নতুন রোগী ৫৪৮। মোট সনাক্তকৃত রোগীর মধ্যে চীনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৪,৬৭৫ জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে নতুন দেশ হিসেবে ইরানে একটি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। বিশ্বে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ২১২৯ জন। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আইইডিসিআর-এর ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে সন্দেহজনক করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করে এ যাবত কারো নমুনাতে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায় নি। ৩১২ জন উহান ফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টিন পরবর্তী আরো ১০ দিন ৩১২ জনকে সীমিত চলাচল ও নিজেদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অবহিত করতে আইইডিসিআর-এর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাদের প্রতি নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের কেউ কেউ হটলাইনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছেন, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেও তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন। এছাড়াও সিঙ্গাপুর নিয়ে বলেন, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রেরিত সর্বশেষ খবরে আমরা জানতে পেরেছি যে, মোট ৫ জন বাংলাদেশের নাগরিক করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে ১ জন আইসিইউ-তে আছেন। কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫ জন বাংলাদেশের নাগরিক। সিঙ্গাপুরে সর্বমোট ৮৫ জন করোনা ভাইরাস রোগী চিকিৎসাধীন, ১১০৪ জনকে পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি, ৩৭ জনের পরীক্ষার ফলাফল অপেক্ষাধীন। বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের দূতাবাস থেকেও আমাদেরকে সিঙ্গাপুর পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত অবহিত করা হচ্ছে। দেশের জল, স্থল ও আকাশপথে বাংলাদেশে আসা প্রত্যেককে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে জানিয়ে অধ্যাপক ডা. ফ্লোরা বলেন, চলতি বছরের ২১ সংখ্যা ৮৩৭১ , চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিংকৃত যাত্রী ছিল ১১১ জন এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে স্ক্রিনিং করা হয়েছে ৭৭ যাত্রীকে। এছাড়া অন্যান্য চালু স্থলবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিংকৃত যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৭০৮৬।