ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুজিববর্ষের কর্মসূচীতে বিএনপিকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ১০:০৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  মুজিববর্ষের কর্মসূচীতে বিএনপিকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ মুজিববর্ষের কর্মসূচীতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। তারা অংশগ্রহণ করবে কিনা সেটা তাদের ব্যাপার। তবে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোন সাম্প্রদায়িক শক্তিকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চাই না। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয়ে ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উদ্যাপনে গঠিত জাতীয় কমিটি ও জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের ইতিহাসের মহাবীর, মহানায়ক। বঙ্গবন্ধু কোন পার্টির নয়, বঙ্গবন্ধু গোটা বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের নেতা, তিনি মহাবীর, তিনি মহানায়ক। তাঁকে নিয়ে আমরা দলীয়করণ করতে চাই না। তিনি সবকিছুরই উর্ধে। কাজেই এখানে আমরা দলমত নির্বিশেষে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, যারা স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাস করে সকলের জন্যই মুজিববর্ষ উদ্যাপন উন্মুক্ত থাকবে। এখানে কোন সঙ্কীর্ণতার সুযোগ নেই। মুজিববর্ষ উদ্যাপনে বিএনপিকে আমন্ত্রণ করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে আমাদের জাতীয় সম্মেলনেও দাওয়াত দিয়েছি। মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানেও বিএনপি আমন্ত্রিত ছিল, কিন্তু তারা কেউ উপস্থিত হননি। মু¦িবর্ষের অনুষ্ঠানেও বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানাব, কিন্তু তারা অংশগ্রহণ করবে কিনা, সেটা তাদের ব্যাপার। তবে কোন স্বাধীনতাবিরোধী-সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে কোন আমন্ত্রণ জানানো হবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিববর্ষ উদ্যাপনের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে আমাদের বাংলাদেশকে ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে ফোকাস করা হবে। সারা দুনিয়ায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোকাস হবে। এটাই হবে মুজিব শতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষের উদ্যাপনের স্পিরিট। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে আমাদের ইতিহাস, আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংগ্রাম, আমাদের সাফল্য, আমাদের উন্নয়ন, আমাদের অর্জন ফোকাস হবে এবং দেশে-বিদেশে আমাদের বাংলাদেশ হবে ব্র্যান্ড। বাংলাদেশ ব্র্যান্ডকে আমরা ফোকাস রাখব, সেই বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত তাঁদের দীর্ঘ সংগ্রাম, আন্দোলন, ইতিহাস, সাফল্য, উন্নয়ন, অর্জন সবকিছু এখানে আসবে। সবকিছুই ফোকাসে আসবে এবং সেটা সারা দুনিয়ার সামনে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডকে তুলে ধরার এটা একটা মোক্ষম সময়, মাহেন্দ্র একটা সময়। এই সময়টিকে আমরা কাজে লাগাতে চাই, আমাদের জাতীয় স্বার্থে, আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুষ্পিত আদর্শ পতাকা, শেখ হাসিনার উন্নয়নের যে মহাসড়ক ধরে। আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত বঙ্গবন্ধুুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অভিমুখে এগিয়ে যাব, এটাই এই মুজিব শতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষের উদ্যাপনের স্পিরিট, আমাদের থিম। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের চিন্তাভাবনা, আমাদের আইডিওলজি এসব কিছু নিয়ে আমরা একটা বছর সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের মূল ধারা তথা মুজিবের ধারায় আমরা অনুপ্রাণিত করব, উজ্জীবিত করব। আমাদের চলার পথকে আরও গতিময় করব, আমরা বেগবান করব ইতিহাস-ঐতিহ্যের আলোকে। মতবিনিময় সভায় জাতীয় উদ্যাপন কমিটির পক্ষে আহ্বায়ক জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, তথ্য কমিশনার আবদুল মালেক ছাড়াও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ সাঈদ খোকনসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্য এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
×