ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভাষা আন্দোলন-স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ০৮:১৯, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ভাষা আন্দোলন-স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ যে চেতনার ভিত্তিতে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়েছিল সেই চেতনা আজ দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৬৮ বছর পরেও অর্জন করতে পারিনি। সেটা ধ্বংস করা হয়েছে। সেই গণতন্ত্রকে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে, একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা, একনায়কতন্ত্র, ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিমকোর্ট বার মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আয়োজিত একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার মিয়ানমারে সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। আমাদের পানি সমস্যার সমাধান হয় না, সীমান্তে হত্যা হয় তার কোনো বিচার হয় না, একটা কথা বলতে পারে না। আমরা এখান থেকে উঠে দাঁড়াতে চাই। অতীতে উঠে দাঁড়িয়েছি। এই সমস্যা শুধু বিএনপির সমস্যা নয়, এটা গোটা জাতির সমস্যা। সবাইকে উঠে দাঁড়াতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে, সোচ্চার হতে হবে, রাস্তায় নামতে হবে, সমস্ত অর্জনগুলোকে ফিরিয়ে আনতে হবে। ‘বাংলাদেশের মানুষ সব সময় সংগ্রাম করেছে তাদের ন্যায্য দাবি আদায় করার জন্য। তরুণ সমাজ-ছাত্রসমাজ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। আজ আমাদের দুর্ভাগ্য ৬৮ বছর পরে গণতন্ত্রের জন্য চিৎকার করতে হয়। দুর্ভাগ্য আমাদের যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন, তার রাজনৈতিক জীবনের পুরোটাই ত্যাগের মধ্যে দিয়ে নিয়ে গেছেন। এখনও তিনি কারাবরণ করে আছেন সেটাও গণতন্ত্রের জন্যে।’ বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে সব অর্জনগুলো নস্যাৎ করে দিয়ে একটি অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে। অর্থনীতি প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সামাজিক অবস্থা কোন জায়গায় নিয়ে গেছে, পত্রিকা খুললেই দেখবেন একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ধরতে গিয়ে তার বাড়ি থেকে ৪০ বছর বয়সী স্ত্রীকে তুলে নিয়ে এসেছে। তুলে নিয়ে তাকে থানার মধ্যে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এটা আমরা আগে কখনও শুনতে পাইনি। মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মহিলা দল সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের সাধারাণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
×