ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

একুশের রক্তে লেখা হয়েছিল স্বাধীনতা ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:৩৯, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

একুশের রক্তে লেখা হয়েছিল স্বাধীনতা ॥ প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথা নত না করতে। একুশের রক্তে লেখা হয়েছিল স্বাধীনতা। আমাদের জন্য এ দিনটি অত্যন্ত গৌরবের। একুশের গৌরবের ইতিহাস সব প্রজন্মকে জানতে হবে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদকপ্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়ে তিনি তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখে গেছেন। কিন্তু বার বার তার নাম ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ইতিহাস-ইতিহাসই। দেশের ইতিহাস বারবার বিকৃত হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বায়ান্ন থেকে একাত্তর পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন অবদানের কথা স্মরণ করেন। এরআগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের একুশে পদক বিজয়ী হিসেবে ২০ ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে। একুশে পদক ২০২০ প্রাপ্তরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে প্রয়াত আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) বেগম ডালিয়া নওশিন, শঙ্কর রায় ও মিতা হক, শিল্পকলায় (নৃত্য) মো. গোলাম মোস্তফা খান, শিল্পকলায় (অভিনয়) এম এম মহসীন, শিল্পকলায় (চারুকলা) অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান, মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত হাজি আক্তার সরদার (মরণোত্তর), প্রয়াত আব্দুল জব্বার (মরণোত্তর), প্রয়াত ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর), গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ কারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবী, প্রয়াত সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি এবং চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার। পাশাপাশি ‘গবেষণা’য় একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।
×