ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ২৩:০১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক ॥ উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে শর্ত ছিল যে, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় ই-মেইল ফাঁসের সঙ্গে রাশিয়া সম্পৃক্ত ছিল না- মর্মে অ্যাসাঞ্জের স্বীকারোক্তি দেয়া। ১৯ ফেব্রুয়ারি ওয়েস্ট মিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী অ্যাডওয়ার্ড ফিতজেরার্ল্ড এ দাবি করেন। এদিন ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে দক্ষিণ পূর্ব লন্ডনের বেলমার্শ কারাগার থেকে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাসাঞ্জ। বিবিসির খবরে বলা হয়, এ বিষয়ে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীর কাছে সাক্ষী রয়েছে। আদালতে তার আইনজীবী বলেছেন, মামলা প্রস্তুত নয় তাই আগামী জুনে প্রত্যার্পণের শুনানি শেষ হবে। অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী অ্যাডওয়ার্ড ফিতজেরার্ল্ড বলেছেন, সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ডানা রোহরাবাচার উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতাকে বলেছেন যে, তিনি রাশিয়ান টেম্পারিং অস্বীকার করলে তাকে ক্ষমা করা হবে। ‘রাষ্ট্রপতির নির্দেশের ভিত্তিতে’ রোহরাবাচার এই প্রস্তাব দিয়েছেন। এদিকে হোয়াইট হাউজ ক্ষুব্ধ হয়ে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীর দাবি অস্বীকার করেছে। হোয়াইট হাউজ দাবিটিকে সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে। ৪৮ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের বিচার চলছে লন্ডনে। গত বছরের ১১ এপ্রিল লন্ডন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে সাত বছর ধরে তিনি ব্রিটেনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজৈনিতক আশ্রয়ে ছিলেন। যৌন সহিংসতার অভিযোগে করা একটি মামলায় সুইডেনে প্রত্যার্পণ এড়াতে সাত বছর আগে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। ২০১০ সালে সুইডেনে দুই নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কিন্তু পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তবে বরাবরই আসাঞ্জ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বেশ কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে ২০০৬ সালে উইকিলিকস নামের ওয়েবসাইটটি চালু করেন অ্যাসাঞ্জ। এই সাইটে তিনি একের পর এক গোপন মার্কিন নথিপত্র প্রকাশ করতে থাকেন। এ কারণে বিব্রত যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। ২০১০ সালের জুলাইয়ে উইকিলিকস আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের প্রায় ৭০ হাজার শ্রেণিবদ্ধ (ক্লাসিফায়েড) নথি প্রকাশ করেছিল। এসব তথ্য পরে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এছাড়া ওই বছরের অক্টোবর নাগাদ ইরাক আক্রমণের চার লাখ নথি এবং যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই লাখ কূটনৈতিক তারবার্তা প্রকাশ করে অ্যাসাঞ্জের প্রতিষ্ঠান।
×