আর ২৫ দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক মাসেরও কম সময়। মাত্র ২৫ দিন হাতে আছে। এর পরই মাহেন্দ্রক্ষণ। আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। বড় উপলক্ষ উদ্যাপনের জন্য অপেক্ষা করে আছে গোটা জাতি। সময় যত গড়াচ্ছে ততই সামনে আসছে নানা কর্মসূচী ও পরিকল্পনার খবর। এ নিয়ে নিয়মিত কাজ করছে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। কমিটি সূত্রে জানা যায়, মুজিবর্ষে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জনপদে তিন হাজার কিলোমিটার রাস্তাকে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) এবং পাঁচ হাজার ব্রিজ তৈরি করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এসব কাজ মুজিববর্ষে শেষ করে ২০২১ সালের ১৭ মার্চের আগে উদ্বোধন করা হবে। ব্রিজ ও রাস্তা নির্মাণ ছাড়াও সারাদেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ৫০ হাজার দুর্যোগ সহনীয় বাড়ির উদ্বোধনসহ বেশকিছু উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ কিছু কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে একটি করে অতিদরিদ্র পরিবারের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ৬৮ হাজার ৩৮টি বাড়ি নির্মাণ করা এ কর্মসূচীর অংশ। এর মধ্যে ৫০ হাজার বাড়ি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির আগেই উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এছাড়াও একই সময়ে ২০০টি মুজিব কিল্লা উদ্বোধন করা হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত ২০টি কর্মসূচীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশে অতিদরিদ্র ৫০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে দুই বান্ডিল করে ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রদান করা। একই বছরের মার্চে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা। এছাড়া সারাদেশে ৯ লাখ ৬৭ হাজার শ্রমিককে দিয়ে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচীর আওতায় সংশ্লিষ্ট এলাকার রাস্তা, ড্রেন, বাজার, ঝোপঝাড় পরিচ্ছন্ন করা হবে। এছাড়া ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্য স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে বাণিজ্যমেলার মাঠে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আগামী ১ জুলাই এক লাখ স্বেচ্ছাসেবকের মহাসম্মেলন আয়োজন করা হবে। ২ জুলাই ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তার প্রধান এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান। তিনি জানান, ‘মুজিববর্ষকে সামনে রেখে ২০টি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ১৭ মার্চের আগে এগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।