ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগ বিএনপি ও জাপা প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা

প্রকাশিত: ১০:৫১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 আওয়ামী লীগ বিএনপি ও জাপা প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা-১০, বাগেরহাট-৪ ও গাইবান্ধা-৩ আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি জাতীয় পার্টিসহ অন্য রাজনৈতিক দলের ১০ প্রার্থী। বুধবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে নিজ নিজ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তারা মনোনয়নপত্র জমা দেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে ১ মার্চ থেকে নির্বাচনী প্রচারে নামবেন প্রার্থীরা। এই তিন আসনের উপনির্বাচনে আগামী ২১ মার্চ ভোট গ্রহণ করা হবে। ঢাকা-১০ আসনে ইভিএমে এবং বাকি ২ আসনে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে বলে আগেই কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই তিন আসনে উপনির্বাচনের জন্য গত ৬ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঢাকা-১০ ॥ রাজধানী ঢাকার ধানম-ি এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসন। সদ্য নির্বাচিত ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচনের জন্য আসনটি ছেড়ে দিলে শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ২১ মার্চ এই আসনে উপনির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই আসনের প্রার্থী হতে বুধবার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম। আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে রবিউল আলম দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এবং শফিউল বেলা পৌনে ৩টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর আওয়ামী লীগের শফিউল বলেন, আমি মানুষের কাছে যাব, মানুষ যদি আমাকে গ্রহণ করে, নির্বাচিত হব। আমরা ভাবতে চাই, একটি উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে এ এলাকার জনগণ তাদের পছন্দমতো নেতাকে বেছে নেবেন। আমি চাই, জনগণ ভোট দিতে আসুক। রাজনীতি ও অর্থনীতি বিনির্মাণে যে সংযোগটুকু আছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, সেসব অভিজ্ঞতা থেকে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগকে কীভাবে আরও গতিশীল করা যায়, সে চেষ্টা করব। বিএনপির শেখ রবিউল আলম মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ভেঙ্গে গেছে। এটা থেকেই রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে নির্বাচন। কমিশনের ভেতর সমস্যা রয়েছে। জনগণ যদি ভোট দিতে পারে এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যদি সরকার ও কমিশন দিতে পারে, তাহলে আওয়ামী লীগের পরাজয় নিশ্চিত। এই আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম শাহাতাব উদ্দিন বলেন, ঢাকা-১০ আসনের নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। ১১৭টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। জানা গেছে, ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচনের জন্য মোট ১১৭টি ভোট কেন্দ্রের ৭৩৪টি বুথে ভোট নেয়া হবে। মোট ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৭ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫০৪ জন। গাইবান্ধা-৩ ॥ সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি আসনের উপ-নির্বাচনে মোট ৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে বুধবার আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী উম্মে কুলছুম স্মৃতি, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ডাঃ মইনুল হাসান সাদিক, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মইনুর রাব্বী চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন যুব সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ মঞ্জুরুল হক গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মঞ্জুরুল হক নিজেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডাঃ ইউনুস আলী সরকার মৃত্যুবরণ করায় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। জেলা নির্বাচন অফিসার মাহাবুবুর রহমান বলেন, সাদুল্যাপুরে ১১টি, পলাশবাড়ি পৌরসভা ও পলাশবাড়ী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৫৪ জন ভোটার রয়েছেন। বাগেরহাট-৪ ॥ মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বুধবার বেলা ১টায় মোরেলগঞ্জ নির্বাচন অফিসারের কাছে তিনি এ মনোনয়নপত্র জমা দেন। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন বাগেরহাট জেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদিন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রীও তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসনের এমপি ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করায় আসনটি শূন্য হয়।
×