ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার যুক্তি

প্রকাশিত: ১০:৩৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার যুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়ার জামিন চেয়ে ফের আবেদন করা হয়েছে। এর আগের আবেদনটি খারিজ করেছিল আদালত। এবার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে এই আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়েছে। তার অন্যতম আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জামিন আবেদনে বলা হয়েছে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই জমিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন। এর আগেও চ্যারিটেবল মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন। এরপর তারা আপীল করেন। ওই আপীলও খারিজ করে সুপ্রীমকোর্ট আপীল বিভাগ। এরপর ২০১৯ সালের ১৪ নবেম্বর হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপীল আবেদন দাখিল করা হয়। ওই আপীলের শুনানি নিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ে আদেশ দেয় আপীল আদালত। শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেনি আপীল বিভাগ। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দন্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আপীল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট । একইসঙ্গে, অর্থদন্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন। এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৮ নবেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপীল করা হয়। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দুদকের দায়ের করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। আপীলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদন্ড বেড়ে ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতে ৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দী রাখা হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।
×