স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাবলিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্কোর জিপিএ-৫ এর পরিবর্তে জিপিএ-৪ নির্ধারণ করে আদেশ জারি হতে পারে চলতি মাসেই। যা কার্যকর করা হবে চলতি বছর থেকেই। দীর্ঘ আলোচনা, বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণসহ নানা পদক্ষেপের পর সব শিক্ষা বোর্ডের সুপারিশ অনুসারেই পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতিতে এ সংস্কার আনা হচ্ছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জনকণ্ঠকে বলেছেন, নতুন গ্রেড পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। চলতি বছর থেকেই জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করা হতে পারে। ২০২১ সাল থেকে এসএসসি-সমমান ও এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৪ কার্যকর করা হবে। গ্রেডিং পদ্ধতিতে শুধু জিপিএ-৫ এর স্থানে জিপিএ-৪ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠিন্যের স্তর, মার্কিংয়ের গুণগত মান ইত্যাদি পরিবর্তন হচ্ছে না। আগের পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়ন ও নম্বর বণ্টন করা হবে। কবে নাগাদ আদেশ হতে পারে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা বোর্ডের পক্ষ থেকে আগেই সুপারিশ পাঠিয়েছি। এরপর মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়েছে, আলোচনা হয়েছে। কাজ প্রায় শেষ, শীঘ্রই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারবে। কাজের যে অবস্থা তাতে চলতি মাসেই আদেশ জারি হতে পারে বলেও জানান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক।
জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডগুলোর সুপারিশ অনুসারেই পাবলিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্কোর জিপিএ-৫ এর পরিবর্তে জিপিএ-৪ নির্ধারণ করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ চলমান পদ্ধতি জিপিএ-৫ এর পরিবর্তে নির্ধারণ করা হয়েছে জিপিএ-৪। এতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেএসসি পর্যন্ত একই গ্রেডিং পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা।
সুপারিশ অনুসারে নতুন গ্রেডিং পদ্ধতিতে জেএসসি-জেডিসি, এসএসসি-সমমান, এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় নম্বরের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ জিপিএ-৪ করা হয়েছে। এখন যেমন সর্বোচ্চ স্কোর হচ্ছে জিপিএ-৫ সেখানে নতুন পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ স্কোর হবে জিপিএ-৪।
এ ক্ষেত্রে ৯০-১০০ পর্যন্ত হবে জিপিএ-৪, ৮০-৮৯ পর্যন্ত জিপিএ-৩ দশমিক ৫, ৭০-৭৯ জিপিএ-৩, ৬০-৬৯ হবে জিপিএ-২ দশমিক ৫। ৫০-৫৯ হবে জিপিএ-২, ৪০-৪৯ হবে জিপিএ-১ দশমিক ৫, ৩৩-৩৯ হবে জিপিএ-১ এবং শূন্য থেকে ৩২ ‘এফ’ গ্রেড জিপিএ-০ বা ফেল নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: