স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরের শ্রীপুরে এক জমি ব্যবসায়ীর গলা কাটা অর্ধগলিত লাশ আজ মঙ্গলবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম আব্দুর রহমানের (৪৫)। সে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর গ্রামের নছিম উদ্দিনের ছেলে।
শ্রীপুর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম ও ভবন মালিক মজনু মিয়াসহ এলাকাবাসি জানান, শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড (প্রশিকা মোড়) এলাকার মজনু মিয়ার তিন তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসায় স্ত্রী সামিরা আক্তার ও শাশুড়ি মালতি বেগমের সঙ্গে বসবাস করে আসছিল আব্দুর রহমান। সামিরা তার মা’কে নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি এ বাসাটি ভাড়া নেয়। আব্দুর রহমান জমি কেনা বেচার ব্যবসা করতো। গত ৮ফেব্রুয়ারি বাসা ভাড়ার টাকা আনার কথা বলে সামিরা ও তার মা দরজায় তালা দিয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর থেকে তারা ফিরে আসে নি। গত কয়েকদিন ধরে তালাবদ্ধ ওই ঘর থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। এতে এলাকাবাসির সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব’র সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে মঙ্গলবার ভোররাতে ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা ঘরের মেঝেতে রশি দিয়ে বাঁধা চটের বস্তায় ভর্তি বিছানার চাদর ও তোষক দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় আব্দুর রহমানের অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
ঢাকার ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আমিনুর রহমান খান জানান, নিহতের গলা অর্ধেকেরও বেশি অংশ কাটা রয়েছে এবং লাশে পোকা ধরেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ৮-১০ দিন আগে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, এ ঘটনায় নিহতের প্রথম সংসারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৫) বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্ত্রী সামিরা আক্তার ও শাশুড়ি মালতি বেগম পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসি জানান, বরিশালের আলী হোসেন বেপারীর মেয়ে সামিরা আক্তার ছোট বেলা থেকেই তার মায়ের সঙ্গে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংগারদিঘী গ্রামের নানার বাড়িতে বসবাস করতো। এটি সামিরার দ্বিতীয় এবং আব্দুর রহমানের তৃতীয় বিয়ে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: