ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নোঙর ও ঢাবি শিক্ষার্থীদের বুড়িগঙ্গা নদীর দখল উচ্ছেদ পরবর্তী নদী পর্যবেক্ষণ কর্মসূচী অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

নোঙর ও ঢাবি শিক্ষার্থীদের বুড়িগঙ্গা নদীর দখল উচ্ছেদ পরবর্তী নদী পর্যবেক্ষণ কর্মসূচী অনুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বুড়িগঙ্গা নদীর দখল উচ্ছেদ পরবর্তী নদী পর্যবেক্ষণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর সহযোগিতায় জরিপকারী জাহাজ তিতাসে বুড়িগঙ্গা নদীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের সাথে এক নদী পর্যবেক্ষণ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নোঙর। সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকা সদরঘাট নৌবন্দর থেকে কাটাঁসুর আমিন মোমিন হাউজিং পর্যন্ত এ পরিদর্শন অনুষ্ঠান চলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের ২০ জন তরুণ ছাত্র-ছাত্রীরা নদীর দখল উচ্ছেদের পরেও অপরিকল্পিত একাধিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বর্তমান চিত্র দেখে তারা বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে। নদী পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের নৌ-পুলিশ সুপার খন্দকার ফরিদুল ইসলাম। তিনি জানান, নদীমাতৃক দেশের প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব হচ্ছে নদী সুরক্ষার জন্য এগিয়ে আসা। এই বিশাল কাজটি সম্ভব হচ্ছে নোঙর এর গণসচেতনতামূলক কর্মকান্ডের জন্য। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর নদীমাতৃক পরিবেশ তৈরী করা আমাদের সকলের উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষক ও চ্যানেল আই এর বার্তা সম্পাদক মীর মাশরুর জামান রনি, পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিক জাহিদুজ্জামান। নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুমন শামস এর সভাপতিত্বে পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নদী সুরক্ষার জন্য নোঙর দেশের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে এই ধরণের আয়োজন নদী রক্ষায় বিশাল ভুমিকা পালন করবে। নদী পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নোঙর-ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক জনাব আবদুস সালাম সময়, নোঙর-কেন্দ্রীয় সদস্য রুহুল আমীন, ঢাকা মহানগরের সম্মানিত সদস্য ফাহিম হক সবুজ প্রমুখ। গত ৩০ জানুয়ারি থেকে বিআইডব্লিউটিএ বুড়িগঙ্গা নদীর উভয় তীরের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানকালে ১৬৫টি ছোট বড় টিনশেডের টং ঘর, দুটি পাকা দেয়াল, চারটি ইট–বালুর গদিসহ ১৯০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ এমপি’র তদারকিতে বিআইডব্লিউটিএ পরবর্তীতে দেশজুড়ে নদী দখল উচ্ছেদ অভিযান চলতে থাকে যা আগামীতেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
×