ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাজী সেলিম

মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রকাশিত: ০৮:১০, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কবি সুকান্তের সেই অমোঘ ও চিরন্তনি কবিতার কিছু অংশ- ‘চলে যাব-তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল এ বিশ^কে, এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি/নবজাতকের কাছে এই আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’-প্রায়ই উচ্চারণ করে থাকেন তার দৃঢ়তা ও অঙ্গীকার সংবলিত, দেশ ও জাতির প্রতি তার মহান দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের একটি সুস্পষ্ট মাইলফলক বা নির্দেশনা হিসেবে। বাংলাদেশের সর্বাঙ্গীণ অর্জিত উন্নয়ন ও অগ্রগতির সকল সফলতা অর্জনের সোপার্জিত দাবিদার বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও তাঁর সরকারের। গত দশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও বিরামহীন প্রচেষ্টার সমন্বয়ে নিজকে সর্বাত্মকভাবে দেশ ও জাতির ভাগ্যোন্নয়নে উৎসর্গ করে, দারিদ্র্যমোচন করে জনগণকে সুখে শান্তিতে নিরাপদে স্থিতিশীলতা বজায় রেখে, সকল ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সহাবস্থান ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পকে নিশ্চিহ্নহ্ন করে, সকলের বসবাসের সর্বাত্মক ব্যবস্থা ও সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করার এক অপরিসীম উদাহরণ সৃষ্ট করেছেন। বিনিময়ে কৃতজ্ঞ জাতি ও জনগণ তাদের অপরিসীম কৃতজ্ঞতা, আস্থা ও শ্রদ্ধা অকৃত্রিম ভালবাসার প্রতিদানের নিদর্শন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে পুনরায় পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য দেশ পরিচালনার কান্ডারি হিসেবে নির্বাচন করেছেন। আগামী পাঁচ বছর সর্বপ্রথম মহান দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের প্রধান ও অন্যতম দুটি পদক্ষেপ যথা-২০২০ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের একশততম জন্মবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের পঞ্চাশতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের এই দুটি ঐতিহাসিক জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক সফল নেতৃত্বের সোনালি ফসল এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তদান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় অবদান ও লাখ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আজকের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত বংশধর যেন একটি গর্বিত, উন্নত, মানসম্মত ও গর্বিত জাতি হিসেবে এক ‘উন্নত মম শীর’ নিয়ে জীবনযাপন ও বসবাস করতে পারেন। বাঙালী জাতির জীবনের ঐতিহাসিক এই দুটি মহাস্মরণীয় দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা, ভালবাসা, আনন্দ, উল্লাস, গান, কবিতা, নাটকে আবেগে আপ্লুত প্রাণঢালা কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে যথাযথ রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করার এক বিস্তারিত কর্মসূচী প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতির জনকের যোগ্য উত্তরসূরি, বর্তমান সরকার গর্ববোধ ও পুলকিত হয়ে জাতির পিতার ঐতিহাসিক অবিনশ্বর অবদান ও তাঁর উৎসর্গকৃত হৃদয়বিদারক বিসর্জন শ্রদ্ধাবনত কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে যে ভবিষ্যত বংশধর ও প্রজন্মের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুকে চিরস্মরণীয় অম্লান ও তার আদর্শ, দেশপ্রেমিক ও সততা ও উৎসর্গকৃত মানবিক গুণাবলীকে চির ধারণ করে লালন পালন করে তাদের জন্য ভবিষ্যতের শিক্ষ্যণীয়, স্মরণীয়, করণীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে দেশপ্রেমিকতার রূপরেখা রেখে যেতে হবে। সরকারের গৃহীত কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিশাল অমোচনীয় অবদান গোটা জাতি অনন্তকাল ধরে হৃদয়ে চির গ্রোথিত করে রাখতে পারে। ঠিক তেমনিভাবে যেন আমরা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে আত্মহুতি দানকারী ৩০ লাখ বাঙালী ও লাখ লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে স্মরণ করতে পারি। তাদের মহামূল্যবান জীবন বিসর্জন ও উৎসর্গকে আমাদের গভীর শ্রদ্ধা, ভক্তি ভালবাসায় ধারণ করতে হবে। লাল-সবুজের সমারোহে ’৭১-এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতি যেন তাদের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ভালবাসার আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে। দেশ ও জাতির প্রতি তাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানকে চির অম্লান ও চির জাগ্রত রেখে ’৭১-এর দেশ ও জাতির তথা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের প্রতি যথাযথ সম্মান জানানোর সুযোগ করে দেয়া হয়। ২০২০-২০২১ সালে গোটা বাংলাদেশের অবয়বকে ’৭১-এর লাল-সবুজের সংগ্রামী রঙে রাঙিয়ে তুলতে দেশ ও জাতির হৃদয়ে ১৯৭১-এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ১৬ ডিসেম্বর আমাদের অহঙ্কার ঐতিহাসিক বিশাল বিজয়ের প্রতিটি পর্ব, ক্ষণ ও মূুহূর্তকে স্মরণ করিয়ে, আমাদের বিজয়ী একটি জাতি হিসেবে আরও গৌরবান্বিত ও আবেগময়ী করবে। সুউচ্চশীরে বাংলাদেশের মহান বীর জনগণ আবারও ’৭১-এর ন্যায় গগন বিদীর্ণ, দেশ কাঁপানো প্রকম্পিত সংগ্রামী ও ঐতিহাসিক ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘তোমার দেশ আমার দেশ-বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা, মেঘনা, যমুনা’ স্লোগানে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিকে আবারও প্রকম্পিত করে তুলবে, লাল-সবুজের সংগ্রামী ও ঐতিহাসিক রঙের তীক্ষ্ন আলোকচ্ছটায়। জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকী ও বিজয়ের পঞ্চাশতম বার্ষিকীর মহালগ্নে যেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক, স্বাধীনতার প্রতীক ও প্রধান রূপকার পৃষ্ঠপোষক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মহান অবিনশ^র অবদান ও পরিবারসহ নিজ জীবন উৎসর্গ ও বিসর্জনকে যথাযথ স্বীকৃতি, সম্মান ও কৃতজ্ঞতাসহ রাষ্ট্রীয় সংবিধানে যেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে যেন জাতির জনকের চির বিশ্বস্ত দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহকর্মী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ ভূমিকা পালনে ও তাদের রাজনৈতিক সততা ও জাতির জনকের প্রতি, তার গতিশীল শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রতি আপোসহীন অটুট আস্থার অধিকারী চার জাতীয় শহীদ নেতৃবৃন্দ, যাদেরকে ’৭৫-এর একই ঘাতক দলের নির্মম হত্যাকা-ের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়েছিল। এই চার জাতয়ী শহীদ বীর নেতৃবৃন্দের স্বর্গীয় আত্মৎস্বর্গকেও যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে মুজিববর্ষে যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। ’৭১-এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানসহ, বঙ্গবন্ধু কন্যার মহান মুক্তিসংগ্রাম স্বাধীনতার চেতনার ধারক-বাহক-রক্ষক ও দেশ পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং তাদের উত্তরসূরিদের স্ব স্ব অর্জিত শিক্ষা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতার আলোকে, বিভিন্ন দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডের অতীত অভিজ্ঞতা ও অবদানের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলের অধীনে দেশ পরিচালনায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সহায়ক, সহযোগী শক্তি হিসেবে নিয়োজিত করা আবশ্যক। ’৭১-এর বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের কৃতী সন্তান ও উত্তরসূরিরাই দেশের যে কোন জাতীয় সঙ্কটকালে, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা তথা, যে কোন অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী ষড়যন্ত্র ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে তাদের জন্য করণীয় একটি নীতিমালা ও পরিকল্পনা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গ্রহণ করা উচিত আর বিলম্ব না করে। দেশ ও রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রেও নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলর সভাপতি ও সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করণসহ একইভাবে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সকল ক্ষেত্রেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিত্ব করার রাষ্ট্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাদের প্রতি এই রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ রাখতে হবে যে, অদূর ভবিষ্যতে দুর্ঘটনাক্রমে যদি কোন স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তির রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আবির্ভাব হয়, তাহলে মহান স্বাধীনতার সকল ইতিহাস চেতনা ভাবমূর্তি এবং উপার্জিত দেশ ও জাতির উন্নয়নমূলক সকল অবদান ও স্বীকৃতিকে দেশ ও জাতির সকল ভাবমূর্তিকে মুহূর্তের মধ্যেই পাল্টিয়ে ভূলুণ্ঠিত করে, লন্ডভন্ড ও নিশ্চিহ্ন করে দেবে। উৎখাত করা হবে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির সকল কিছুই। ’৭১-এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি ও তাদের জীবিকা অর্জনের রাষ্ট্রীয় সম্মান বৃদ্ধিকরণের ওপর ২০১৫ সালের ১১ জুলাই জনকণ্ঠে আমার প্রকাশিত লেখাটির পুনঃউচ্চারণ করে আবারও উল্লেখ করতে চাই যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করায়, ’৭১-এর বীর যোদ্ধাদের আজ সসম্মানে অস্তিত্ব বজায় রেখে বেঁচে আছেন। তবে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজও সরকারের গোচরীভূত না হওয়ায় যথাযথ স্বীকৃতি ও সম্মান না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করে, বিভিন্নভাবে দেশের আনাচে-কানাচে, নিত্যনৈমিত্তিক, শারীরিক ও মানসিকভাবে নিগৃহীত হচ্ছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাউজানের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মস্তক বিচ্ছিন্ন করে অত্যন্ত নিষ্ঠুর, নির্মম ও বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদের মর্মস্পর্শী জীবনযাপন ও দুর্ভোগ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা ও জেলা প্রশাসন কি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে তার কোন তথ্যনির্ভর সংবাদ অদ্যাবধি আমাদের গোচরীভূত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত সদিচ্ছার যদি বাস্তবায়ন হয় না, অথবা দীর্ঘসূত্রতা অবলম্বন তার ধামাচাপা দেয়া হয়। তাহলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী ও কলকাঠি নিয়ন্ত্রকদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবারের সদস্যদের সুচিকিৎসার জন্য সিএমএইচএর আদলে একটি কেন্দ্রীয় আধুনিক চিকিৎসার সাজসরঞ্জামসহ প্রয়োজনীয় দক্ষ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে সকল প্রকারের চিকিৎসা ও ওষুধপত্র সজ্জিত একটি বিশেষ হাসপাতাল নির্মাণ করা উচিত। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ব্যক্তিগত ও দাফতরিক রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে অংশগ্রহণ করতে ঢাকায় অবস্থান করার একটি নিরাপদ ও আরামদায়ক গেস্টহাউস নির্মাণ করা উচিত, যেখানে তাদের স্বল্পমূল্যে থাকা, খাওয়া ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের হাসপাতালে চিকিৎসায় আনা-নেয়ার সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় পরিবহন ব্যবস্থা থাকবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক সংখ্যার ভিত্তিতে, চূড়ান্তভাবে, স্থায়ী তালিকা সরকারিভাবে গেজেট আকারে প্রকাশ করে, তাদের রাষ্ট্রের তরফ থেকে বাংলা ও ইংরেজীতে একটি পরিচয়পত্র বা আইডেন্টিটিকার্ড প্রদান করে সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে নিরাপদে চলাফেরা ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করা উচিত অনতিবিলম্বে। এই রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্রটি যেন হয় সম্মান, মর্যাদা ও বীরত্বের প্রতীক। এই রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শনে বা প্রকাশে যেন বীর যোদ্ধারা যে কোন বিশেষ প্রয়োজনে নিরাপত্তাসহ সম্ভাব্য সাহায্য-সহযোগিতার স্বাধীনতার মহান পঞ্চাশতম বার্ষিকীতে যেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি তাদের ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও আত্মৎস্বর্গ, ত্যাগের স্বীকৃতি প্রদান করে জাতীয় সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা হয়। লেখক : ’৭১-এর মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক, সমাজসেবক, জাতিসংঘের সাবেক প্রাদেশিক নির্বাচন উপদেষ্টা
×