ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তিন সাংবাদিক হেনস্থাকারী সেই বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের নেতা রিয়াদ ইয়াবাসহ গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৭:৩৪, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

তিন সাংবাদিক হেনস্থাকারী সেই বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের নেতা রিয়াদ ইয়াবাসহ গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুরানো ঢাকার গেন্ডারিয়ায় সাংবাদিকদের হেনস্থা করে উল্টো সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই জিডি করা সেই ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা আলোচিত শহিদুল ইসলাম খান রিয়াদ ও তার সহযোগীকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে পুলিশ পুরানো ঢাকার সুত্রাপুরের রায়সাবেহ বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। ডিএমপি’র সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, শনিবার রাত ২টার দিকে ইয়াবাসহ রিয়াদ ও খোকন নামে দু’জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছে তল্লাশি করে চার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পুরানো ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাহবুব মমতাজি, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নূরুল আমিন জাহাঙ্গীর ও দিন প্রতিদিন পত্রিকার রিপোর্টার পাপনকে আটককে রেখে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াদ ও তার সহযোগীরা। পরে উল্টো তিন সাংবাদিকের নামেই গেন্ডারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আলোচিত ও বির্তর্কিত এই নেতা রিয়াদ। জিডিতে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রিয়াদ অভিযোগ করেন, সাংবাদিকেরা কেন্দ্রে বিএনপি জামায়াতের এজেন্ট হিসেবে গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রিয়াদকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি। আইনশৃংখলাবাহিনীর সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্র কেনা-বেচার সময় নাহিদুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন বিদেশীসহ অস্ত্র গ্রেফতার করে মতিঝিল থানা পুলিশ। তাদের গ্রেফতারের পর রিয়াদের নাম উঠে আসে। সে সময় গ্রেফতারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতেও বলেছেন, ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ এবং কামরুল ইসলাম তাদের অস্ত্র বিক্রির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পরে পুলিশ ওই মামলায় ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ, কামরুলের নাম উল্লেখ্য করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই মামলার রিয়াদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। পুলিশ জানায়, রিয়াদ পেশাদার অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী। স্থানীয়রা জানান, রিয়াদ এলাকার পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে পুরানো ঢাকার ওয়ারী ও গেন্ডারিয়া এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানান, অস্ত্র মামলায় রিয়াদের বিরুদ্ধে যখন চার্জশিট দেয় পুলিশ। তখন রিয়াদ গেন্ডারিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সে সময় তার বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি ২০১৮ সালে তাকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ দেয়া হয়।
×