ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

টুকরো খবর

প্রকাশিত: ০৭:০১, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

টুকরো খবর

সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপ সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ কমাতে চলতি অর্থবছর থেকে এ খাতে বিনিয়োগে বেশকিছু কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কোন প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত তহবিল, তথা প্রভিডেন্ট ফান্ড ছাড়া অন্য কোন অর্থ সঞ্চয়পত্র খাতে বিনিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে। এ জন্য ভবিষ্যত তহবিলের বিপরীতে দেয়া হয়েছে আলাদা কর শনাক্তকরণ নম্বরও (টিআইএন)। এরপরও প্রতিষ্ঠানের টিআইএন ব্যবহার করে অন্য খাতের অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই ভবিষ্যত তহবিলের টিআইএন ছাড়া প্রতিষ্ঠানের টিআইএনের বিপরীতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করার নির্দেশ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। ১১ ফেব্রুয়ারি অর্থ বিভাগের সরকারী ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচীর উপ-সচিব আবুল বাশার মুহাম্মদ আমীর উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বেসরকারী ব্র্যাক ব্যাংকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর এবং বিভিন্ন ব্যাংকে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, সঞ্চয়পত্র বিধিমালা অনুযায়ী স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল তথা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ পাঁচ বছর মেয়াদে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। ভবিষ্য তহবিল ব্যতীত প্রতিষ্ঠানের অন্য কোন তহবিল সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যাবে না। এ জন্য ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রদানের মাধ্যমে এ তহবিলের বৈধতার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তারপরও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ভবিষ্য তহবিলের টিআইএন বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের টিআইএন দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনেছে। সঞ্চয়পত্রে অবৈধ বিনিয়োগে লাগাম টানতে চলতি অর্থবছর থেকে কিছু কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যাতে কেউ বিনিয়োগের উর্ধসীমা বা অবৈধভাবে কালো টাকা বিনিয়োগ করতে না পরে, সেজন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি টিআইএন নম্বর নেয়া হয়। এছাড়া বিক্রি কমাতে নতুন বাজেটে মুনাফার ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। এতদিন সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে সরকার ৫ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখত। আগামী ১ জুলাই থেকে ১০ শতাংশ করে কাটবে। এসডিজি অর্জনে ২২ কোটি টাকা অনুদান টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের আট প্রতিষ্ঠানকে ২২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার। ইউনিলিভারের ডিএফআইডি ও আরন্সটন এ্যান্ড ইয়াং যৌথ উদ্যোগে অভিনব সামাজিক ব্যবসাগুলোকে এ অনুদান দেবে। ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এসব সামাজিক ব্যবসার উদ্যোক্তারা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি–বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়া ও সাব সাহারা অঞ্চলের সামাজিক কল্যাণে ব্যবসার নতুন মডেল সম্প্রসারণে ৫০টিরও বেশি প্রকল্পে ৪০০ কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে ইউনিলিভার। এর মধ্যে বাংলাদেশের আটটি প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে ২২ কোটি টাকা। বাংলাদেশে বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, স্যানিটেশনের মতো উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত হয়েছে ইউনিলিভারের ট্রান্সফর্ম। যারা নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর চাহিদা পূরণে টেকসই ও উদ্ভাবনী কাজে এ অনুদান ব্যবহার করবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ মোকাম্মেল হোসেন বলেন, এসডিজি অর্জনে ইউনিলিভারের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এসডিজি অর্জনের যে অর্থায়ন প্রয়োজন, তাতে ঘাটতি আছে। এ জন্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কেদার লেলে বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, ইউনিলিভার শুধু বড়দের নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করি। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যা ধরিয়ে দেয়া নয়, সমাধানের জন্য কাজ করছে।’ অনুদান পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘জিয়ন’ একটি মোবাইল এ্যাপস, যার মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের ফার্মেসিগুলো তাদের গ্রাহকদের ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে। পাশাপাশি ফার্মেসি মালিকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আবার নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছে এ্যাপস ‘মায়া’। যার মাধ্যমে চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে মেলবন্ধন গড়ে উঠেছে। আর গণশৌচাগার নির্মাণ করছে ‘ভূমিজ’।
×