ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরকীয়ার জেরে হাতিরপুলে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ১১:০৪, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পরকীয়ার জেরে হাতিরপুলে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরকীয়া প্রেমের জের ধরে রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় সাজেদা আখতার (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ নিহতের রিক্সাচালক স্বামী মোঃ ফেরদৌসকে (৪০) গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, পরকীয়া সন্দেহে সাজেদাকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার স্বামী। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে সাজেদার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান। স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত সাজেদার নয় ও সাত বছরের দুই পুত্র সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে কলাবাগান নর্থ রোড ভূতের গলি এলাকায় একটি টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানান, বুধবার রাতে ফেরদৌস বাসায় ফেরার পর স্ত্রী সাজেদার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ফেরদৌস ঘরে রাখা ধারালো দা দিয়ে সাজেদাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে সাজেদার মৃত্যু হয়। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ভূতের গলির ওই টিনশেড ঘর থেকে সাজেদার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোরের দিকে ঢামেক মর্গে পাঠায়। কলাবাগান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, সাজেদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে রুমের মধ্যেই বসে ছিল তার স্বামী ফেরদৌস। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ফেরদৌস জানায় দীর্ঘদিন ধরেই তাদের দাম্পত্য কলহ চলছিল। সাজেদা পরকীয়া করে এমন সন্দেহ ছিল তার। বিষয়টি নিয়ে তাদের গ্রামের বাড়িতে একবার সালিশও হয়েছে। তারপর সাজেদা এই পথ ছাড়েনি বলে ফেরদৌস পুলিশকে জানায়। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী তার স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। তদন্ত করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত ফেরদৌসের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবলে। তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মোঃ বেলায়েত হোসেন ওরফে ইলিয়াস (৪৮), মোঃ কাইয়ুম মিয়া ওরফে বাবুল ওরফে মোস্তফা (৪৯) ও মোঃ জুয়েল মিয়া (৩০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন, সাতটি সিম, একটি টেলিফোন নির্দেশিকা ও একটি ভারতীয় সিম উদ্ধার করা হয়।
×