ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল ঢাকা

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ডিজিটাল ঢাকা

পহেলা ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এ নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক প্রচার আমরা দেখতে পেয়েছি। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও ফজলে নূর তাপস এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। তবে ফজলে নূর তাপসের মতো পরিচ্ছন্ন ও শিক্ষিত এক নেতাকে অনেকটা প্রয়াত আনিসুল হকের মতো মনে হচ্ছে। আনিসুল হকের মতো একজন দক্ষ মেয়র যে কতটা জরুরী তা সহজেই অনুমেয়। বিশেষ করে আনিসুল হকের দুই বছরের ঢাকাকেন্দ্রিক উন্নয়ন ঢাকাবাসীকে মুগ্ধ করেছিল। ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম দু’জনেই প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কাজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শহরের সামগ্রিক উন্নয়নের মৌলিক ভূমিকা রাখতে পারেন। উন্নয়ন প্রত্যয়টি ইতিবাচক। এ প্রত্যয়ের ভেতরে লুকিয়ে আছে উৎকর্ষ। সামাজিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন একটা সমাজ তথা রাষ্ট্র এবং রাষ্টের সামগ্রিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উন্নয়ন তখনই প্রয়জন হয়, যখন দৃশ্যমান ব্যবস্থা সামগ্রিক উন্নয়নে সঠিক ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়। দুই মেয়র মহোদয় নি¤েœাক্ত বিষয়গুলো প্রাধান্য দিয়ে, তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা এগিয়ে নিলে ঢাকাবাসী উপকৃত হবে, কারণ সবাই অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আপনাদের ভোট দিয়েছে। এগুলো হলো : ১. রাস্তাঘাট মেরামত : আধুনিক জীবনে নানা কারণে বিভিন্ন জরুরী সংযোগ ও স্থাপনা নির্মাণ করা আবশ্যক হয়ে পরে। বিশেষত পানির লাইনের কারণে, বিদ্যুত সংযোগের কারণে, গ্যাসের সংযোগের কারণে, অথবা রাস্তা মেরামতের জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়। কখনও আবার ড্রেনে লাইন আটকে যাওয়ার কারণে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি হয়। নাগরিক জীবনের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এগুলো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সে বিষয়ে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়। কিন্তু দ্বিমত তখন দেখা যায়, যখন রাস্তাঘাট অর্ধেক খুঁড়ে কাজ আটকে থাকে। এতে স্বাস্থ্যহানি, যোগাযোগে চরম বিপত্তি, মোদ্দাকথা এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। এ বিষয়গুলো অনেক আলোচনা হলেও কর্তৃপক্ষের একটু ও টনক নড়ছে না। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মধ্যে চরম দায়িত্বহীনতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। উল্লেখ্য, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মধ্যে আন্তরিকতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, বিদ্যুত বিভাগের মতো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলো একসঙ্গে কেন কাজ করতে পারে না সেটা মোটেও বোধগম্য হয় না। একটি বিভাগ আরেকটি বিভাগের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে চায়। কিন্তু সমন্বয়হীনতা এখানে মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের আশ্বাস দিলেও, কার্যত বাস্তবে তার সঠিক প্রতিফলন ঘটাতে পারেন না, যেটা ভীষণ দুঃখজনক। জনগণের সামগ্রিক সুযোগ-সুবিধাসহ নানাবিধ জনহিতকর কার্যক্রম যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কোন জনহিতকর কার্যক্রমের কারণ কোন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে কিনা সেটা দেখভাল করাও সমধিক গুরুত্বপূর্ণ। পুরান ঢাকার অলিগলিসহ অপেক্ষাকৃত ঘিঞ্জি জায়গাগুলোতে মহাদুর্ভোগ দৃশ্যমান একটা বিষয়ের রূপ পরিগ্রহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের মহাসড়ককে এগিয়ে নিতে, ডিজিটাল ঢাকা চাই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×