ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা-১০ উপ-নির্বাচন : আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিলেন (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন

প্রকাশিত: ০৯:০১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ঢাকা-১০ উপ-নির্বাচন :  আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিলেন (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলটির মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোশেনের নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। শূন্য হওয়া ৫টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র বিতরণ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। সম্প্রতি চারজন সংসদ সদস্য মারা যাওয়ায় সংসদীয় আসনগুলো শূন্য হয়েছে। সেগুলো হল- বগুড়া-১, যশোর-৬, গাইবান্ধা-৩ এবং বাগেরহাট-৪। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরের্শন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ঢাকা-১০ আসন থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। জানা গেছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে মনোনয়ন প্রত্যশীদের সাক্ষাকার নিয়ে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নের জন্য দলীয় আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। মঙ্গলবার বিকালে শফিউল ইসলামের পক্ষে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নেত্রী মনোনয়ন দিলে আমরা জয় লাভ করে মুজিববর্ষের প্রথম উপহার দিতে চাই। তিনি আরো বলেন, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। কিন্তু কোনো পদ-পদবি নেননি। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতি করেন। এ রকম অনেক নেতা আছেন যারা ভেতর থেকে রাজনীতি করেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের হাতে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র তুলে দেন দলের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান। এ সময় তাঁর সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। চসিক মেয়র আ জ ম নাছির সাংবাদিকদের বলেন, মনোনয়নের বিষয়টি দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করছে। তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং শিরোধার্য। এছাড়া মেয়র পদে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী নুুরুল ইসলাম বিএসসি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস. রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয় সম্পাদক খোরশেদ আলম সুজন প্রমুখ। আর দলের সমর্থনের জন্য ৯৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী আবেদনপত্র ক্রয় করেছেন। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা নেওয়া হচ্ছে। আবেদনপত্র বিতরণ ও জমা নেওয়া চলবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গাইবান্ধা-৩ আসনে সবচেয়ে বেশি আটজন মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন-উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ইয়াকুবুল আজাদ, মাহমুদুল হক, একেএম মোকছেদ চৌধুরী, মফিজুল হক সরকার, ফজলুল করিম, ওমর ফারুক ও আজিজার রহমান। বাগেরহাট-৪ আসনে আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন চারজন। তারা হলেন- এইচ এম মিজানুর রহমান জনি, আব্দুর রহিম খান, প্রবীর রঞ্জন হালদার ও মো. আমিরুল আলম মিলন। যশোর-৬ আসনে শেখ আব্দুর রফিক ও বগুড়া-১ আসনে মুজাহিদুল ইসলাম বিপ্লব। জানা গেছে, সংসদ সদস্য পদে আবেদন ফরমের মূল্য ৩০ হাজার টাকা, মেয়র পদে ২৫ হাজার ও কাউন্সিলর পদে ১০ হাজার টাকা রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইউনুস আলী সরকার মারা গেলে গাইবান্ধা-৩ আসনটি শূন্য হয়। গত ১০ জানুয়ারি রাজধানীর বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি ডা. মোজাম্মেল হোসেন। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। ১৮ জানুয়ারি আবদুল মান্নান মারা যাওয়ায় বগুড়া-১ আসনটি শূন্য হয়। টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত ছিলেন আবদুল মান্নান।
×