ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বান্ধবীকে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলায় রাবি ছাত্র রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৮:০৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বান্ধবীকে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলায় রাবি ছাত্র রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ ছাত্রাবাসে বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে বান্ধবীকে ধর্ষণ ও ফর্ণোগ্রাফির মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্মী মাহফুজুর সারদকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সেলিম রেজা দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মাহফুজুর রহমান সারদ রাবির অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র। মতিহার থানার (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র মাহফুজুর সারদ (২২) তার বান্ধবী ও রাবি ছাত্রীকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে কাজলা সাঁকপাড়া এলাকায় তার মেসে এনে ধর্ষণ করে। এসময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে সে তার বন্ধু ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যায়ের আইন বিভাগের ছাত্র প্লাবন সরকার, রাফসান, জয়, জীবন এবং বিশালকে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করায়। ধর্ষণের পরে ওই ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ারও হুমকি দেয়। পরে গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেয় তারা। এদিকে, ধর্ষণের শিকার রাবির ওই ছাত্রীর বাবা ও মাকে সঙ্গে নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি দুপুরে নগরীর মতিহার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার পরেই মতিহার থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে মাহফুজুর রহমান সারদ, প্লাবন তালুকদার এবং রাফসানকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের কাছে থেকে ধর্ষণের ভিডিওসহ মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া, গত শুক্রবার রাতে রাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সারদের দুই বন্ধু মতিহার কাজলা এলাকার জীবন (২৫) ও জয়কেও (২২) গ্রেফতার করা হয়। পরে জীবনের কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধার করে পুলিশ। জীবন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, মাহফুজুর সারদের কথামতো তারা ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ড করেছিল। এরপরই সারদকে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে রিমান্ড শুনানি শেষে বিচারক দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া বিশাল নামের একজন পলাতক আসামীকেও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানিয়েছে ওসি মাসুদ পারভেজ।
×