ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচার শেষ আজ ॥ একদিন পরেই দুই সিটির কাক্সিক্ষত ভোট

প্রকাশিত: ১১:০০, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

প্রচার শেষ আজ ॥ একদিন পরেই দুই সিটির কাক্সিক্ষত ভোট

শাহীন রহমান ॥ ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার শেষ হচ্ছে আজ। আর একদিন পরই অনুষ্ঠিত হবে বহু কাক্সিক্ষত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু ভোটগ্রহণের। আজ থেকে মাঠে নামছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন প্রচার শেষে পুরো নির্বাচনী এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে নির্বাচনী এলাকা। ইভিএমে ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে আজ থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে মক বা মহড়া ভোট। সাধারণ ভোটাররা এই ভোটে অংশ নিতে পারবেন। নির্বাচন কেন্দ্রে ও কেন্দ্রে বাইরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোতায়েন থাকছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা দায়িত্ব পালন করবেন। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ৩২ ঘণ্টা আগে থেকে সব ধরনের প্রচার বন্ধ করতে হবে। সে অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন। তবে আচরণবিধি অনুযায়ী প্রার্থীরা রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন। এরপর ভোটগ্রহণ ফল ও প্রকাশসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার পথসভাসহ সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য গত ২২ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হয়। ইসির আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জানুয়ারি থেকে প্রচারে নামেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর। প্রথম দফায় তফসিল অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি ভোট নির্ধারণ করা হলেও ওইদিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার কারণে বিভিন্ন মহলের দাবির প্রেক্ষিতে ভোটগ্রহণ ২ দিন পিছিয়ে দেয়া হয়। ফলে প্রার্থীরা ২ দিন বেশি সময় পেয়েছেন নির্বাচনী প্রচারের জন্য। এদিকে শেষ মুহূর্তে এসে হিসাব-নিকাশ কষছেন ভোটাররা। নির্বাচনী প্রচার শেষে জয়পরাজয়ের হিসাব শুরু করেছেন। টানা প্রায় ২০ দিন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটের মাঠে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রার্থীরা নির্বিঘেœ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ মধ্যরাতের মধ্যে তাদের নির্বাচনী প্রচার শেষ করতে হবে। তবে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী তারা রাত ৮টার পর আর প্রচার চালাতে পারবেন না। এদিকে ভোট সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার থেকে ভোটের সার্বিক পরিবেশ শান্ত রয়েছে। কোথাও বড় ধরনের কোন গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচনী পরিবেশ শান্ত থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইসির বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারকালে রাজধানীর গাবতলীতে এবং পুরান ঢাকার গোপীবাগে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিকে শেষ সময়ে এসে প্রার্থীরা জয়পরাজয়ের হিসাব করছেন। নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের প্রার্থীরাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনী প্রচারকালেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের বড় কোন অভিযোগ আসেনি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। ইসির সচিব এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাতে বড় ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে এমন নয়। দুটি ঘটনা উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে। দুটো ঘটনাই অতর্কিতে হয়েছে। ছোটখাটো জিনিস থেকে এসব হয়েছে। তিনি বলেন, আচরণবিধি সময়োপযোগী করারও প্রয়োজন রয়েছে। যাতে মানুষের কষ্ট না হয়, প্রার্থীরাও যেন প্রচার চালাতে পারেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে অনেককে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সুবিধার জন্য আজ থেকে মক ভোট বা মহড়া ভোট শুরু হচ্ছে। সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে এই মহড়া ভোটে অংশ নিতে পারবেন ইভিএমে ভোটদানে শঙ্কা দূর করতে। এজন্য রাজধানীর কেন্দ্রে কেন্দ্রে আগে থেকেই ইভিএম মেশিনে প্রদর্শনী চালু হয়েছে। আজ মক ভোটের মাধ্যমে ভোটাররা ভোটের মহড়া দিতে পারবেন। ইসি সচিব জানান, ইভিএমে ভোট দিতে যেহেতু ভোটারের আঙুলের ছাপ লাগবে, সেহেতু এতে জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই। এদিকে ভোট কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে থাকা সিসি ক্যামেরা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ঢাকার দুই সিটিতে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে ২ হাজার ৪শ’ ৬৪টি। এর মধ্যে ঢাকার উত্তর সিটিতে রয়েছে ১ হাজার ৩শ’ ১৮ কেন্দ্র। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে কেন্দ্র সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ১৫০টি। এবারই প্রথমবারের মতো সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেয়া হচ্ছে। ইভিএমে ভোটগ্রহণের আগে আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে মক বা মহড়া ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটাররা পরীক্ষামূলকভাবে এই মক ভোট কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। এছাড়াও ভোটের দিন সকাল ৮টা থেকে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও এর ১৫ মিনিট আগে প্রার্থীর এজেন্টদের উপস্থিতিতে মক বা মহড়া ভোট নেয়া হবে। এদিকে ১ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে নির্বাচনী এলাকা এদিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের জন্য ভোটারদের ও কেন্দ্রের নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নামছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেনাবাহিনী মোতায়েন করা না হলেও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আজ থেকে মাঠে থাকছেন বিজিবির সদস্যরা। এছাড়াও আজ থেকে নির্বাচনের মাঠে থাকছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরাও। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রতি দুটি ওয়ার্ডের জন্য একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকছে। সাধারণ কেন্দ্রের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬ জন সদস্য আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৮ জন করে সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ভোটারদের নিরাপত্তা রক্ষায় কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রের বাইরের নিরাপত্তায় উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডে পুলিশ ও এপিবিএন সমন্বয়ে ৫৪টি মোবাইল ও ১৮টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের ৫৪টি টিম ও ২৭ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭৫টি ওয়ার্ডে পুলিশ ও এপিবিএন সমন্বয়ে ৭৫টি মোবাইল ও ২৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের ৭৫টি টিম ও ৩৮ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালনে মাঠে নামছে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আজ থেকে মাঠে নামছে। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন ও অপরাধের বিচার কাজের জন্য দুই সিটিতে ১২৯ জন নির্বাহী হাকিম ও ৬৪ জন বিচারিক হাকিম নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালনে মাঠে থাকবেন। যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা এদিকে ভোটের আগে নির্বাচনী এলাকায় যান চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের নির্ধারিত দিনের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ আগামীকাল ৩১ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ভোটের দিন সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বেবিট্যাক্সি, অটোরিক্সা, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো, অন্যান্য যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। তবে আজ মধ্যরাত রাত ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ছয়টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার এজেন্ট, দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক, সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিকদের, নির্বাচনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ক্ষেত্রে এবং জরুরী সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুত গ্যাস, ডাক টেলিযোগাযোগ কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে। এছাড়াও জাতীয় মহাসড়ক, জরুরী পণ্য খাদ্য ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এলাকায় মহাসড়ক ছাড়াও বাইরে যাওয়া এবং প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মহাসড়ক, প্রধান প্রধান সংযোগ সড়কে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে। এছাড়া দেশের বিভিন্নস্থান বা বিদেশে যেতে বিমানবন্দর বা বাস টার্মিনালে যাওয়ার জন্য টিকেট বা পাসপোর্ট থাকা সাপেক্ষে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে সাংবাদিকরা নির্বাচনী খবর সংগ্রহের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তাদের নির্বাচন কমিশন থেকে সরবরাহকৃত স্টিকার ও সাংবাদিক পাস সঙ্গে রাখতে হবে। দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক এদিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ইসির কর্মকর্তারা জানান ভোট পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের ৬৭ জন পর্যবেক্ষক অংশগ্রহণ করবেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ শাখা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ২৭ জন, যুক্তরাজ্যের ১২ জন, সুইজারল্যান্ডের ৬ জন, জাপানের ৫ জন, নেদারল্যান্ডের ৬ জন, ডেনমার্কের ২ জন, নরওয়ের ৪ জন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫ জন পর্যবেক্ষক সিটি ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমতি পেয়েছেন। ইসি সচিব মোঃ আলমগীর জানান, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ ভোট পর্যবেক্ষণ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। আমরা কোন আমন্ত্রণ জানাইনি। তারা নিজ থেকেই এতে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এদিকে বিদেশী পর্যবেক্ষক ছাড়াও ২২ দেশী সংস্থার ১ হাজার ১৩ জনকে ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানান ইসির জনসংযোগ পরিচালক ইসরাইল হোসেন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঢাকায় অবস্থান করবেন না- ইসি সচিব আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বহিরাগতদের রাজধানীতে অবস্থান না করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে ভোটার ছাড়া কাউকে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে ইসি সচিব মোঃ আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ও র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। সচিব আলমগীর বলেন, অন্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে এলাকায় ভোট থাকে, সে এলাকায় ভোটের দিন বাইরের কোন লোক অবস্থান করতে পারে না। এটা রাজধানী। মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে এখানে আসতে হয়। এসব বিষয় বিবেচনা করে অবস্থান বন্ধ করা যাবে না। ঢাকায় ভোটার ছাড়া কোন লোক থাকতে পারবে না বা বাইরের কেউ আসতে পারবে না- এগুলো করা যাবে না। বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, ভোটের দিন যেন যারা ভোটার না, বিশেষ করে ঢাকায় বহিরাগত, তারা যেন ভোটকেন্দ্রে না আসেন। এছাড়া যদি অত্যন্ত প্রয়োজন না থাকে, তাহলে কেউ যেন ঢাকায় অবস্থান না করেন। যাদের জরুরী প্রয়োজন, তাদের তো থাকতেই হবে। তাদের যেন পুলিশ এলাউ করে। তবে যদি কোন কারণ না দেখাতে পারে, শুধু শুধু ঢাকায় এসেছে, তাদের চলে যেতে বলা হয়েছে।
×