ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে কোল্ড ইনজুরিতে নস্ট হচ্ছে বোরো বীজতলা

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

বরিশালে কোল্ড ইনজুরিতে নস্ট হচ্ছে বোরো বীজতলা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ গত কয়েকদিনের কনকনে শীত, ঘণকুয়াশা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে জেলার অধিকাংশ উপজেলায় নস্ট হচ্ছে কৃষকের বোরো বীজতলা ও রোপন করা ধানের চারা। কোল্ড উনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে বীজতলার চারা ও রোপিত ধানের চারা হলুদ ও লালচে রং ধারণ করে আস্তে আস্তে মারা যাচ্ছে। ফলে বিপাকে পরেছেন কৃষকরা। বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে কোল্ড ইনজুরির কারণে চাষীদের বীজতলা ও রোপিত ধানের ক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার নাসির উদ্দিন জানান, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় মোট ৯ হাজার ৬৪৭ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে চাষাবাদ শুরু করেছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে কৃষকের রোপিত ধানের চারা ও বীজতলা তীব্র শীতের কারণে হলুদ বর্ণ হয়ে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। গৈলা ইউনিয়নের মধ্যশিহিপাশা গ্রামের কৃষক অসিম সন্যামত জানান, তার রোপিত বীজ ধানের চারা শীতের কারণে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। বীজতলারও একই অবস্থা। এভাবে বীজতলা ও রোপিত ধানের বীজ চারা নষ্ট হয়ে গেলে তার মতো অনেক চাষীর পক্ষে পুনরায় ধানের চারা সংগ্রহ করে রোপন করা সম্ভব হবেনা। সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র শীত আর ঘণকুয়াশায় অধিকাংশ বীজতলার চারা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। চাষিরা রাতের বেলা শীত থেকে চারা বাঁচানোর জন্য বীজতলা পানি দিয়ে ডুবিয়ে রাখছে। আবার কোথাও বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। আবার কেউবা ছত্রাকনাশক স্প্রে করে চারা রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনুর রহমান বলেন, বর্তমানে যে আবহাওয়া আছে তােেত চারা মারা যাবার নয়। অনেক চাষি বীজতলা থেকে তুলে রাখায় দীর্ঘদিন যাবত দুর্বল বীজ লাগানোর কারণে চারা মারা যাচ্ছে। তারপরেও শীতের কারণে চারা মারা যাওয়াকে কোল্ড ইনজুরি সমস্যা জানিয়ে প্রতিরোধক হিসেবে রোপিত ধানের চারা ও বীজ তলায় প্রতি শতকে ৪০গ্রাম ইউরিয়া সার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। অকারণে বীজতলা বা রোপিত চারায় কোন কীটনাশক ব্যবহার না করাই ভাল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
×