ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াকাটা সৈকতে জিরো পয়েন্ট দোকানিসহ জেলেদের দখলে

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

কুয়াকাটা সৈকতে জিরো পয়েন্ট দোকানিসহ জেলেদের দখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ কুয়াকাটা সৈকতের বেলাভূমির অধিকাংশ এখন একটি ক্ষুদে দোকানিচক্রসহ কয়েকটি মহল দখল করে রেখেছে। এমনকি জিরো পয়েন্টসহ আশপাশে যে যার মতো ছোট ছোট অস্থায়ী দোকানপাট ফেলে রাখছে। দোকান বন্ধের পর দিনের বেলা এসব দোকানপাট জেলে নৌকা ফেলে রাখায় পর্যটকরা একটু স্বস্তিতে চলাচল করতে পারছে না। বেঞ্চিতে বসে সাগরের ঢেউসহ প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করতে পারছেন না। বেঞ্চি-ছাতার সামনে রাখা হয়েছে জেলে নৌকা। এছাড়া এলোমেলো এসব কিছু যত্রতত্র ফেলে রাখায় স্বস্তিতে হাটাচলা করতে পারছে না পর্যটক দর্শনার্থী। যেন চরম অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে গোটা সৈকত এলাকায়। এসব দেখারও যেন কেউ নেই। এক অর্থে অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছে কুয়াকাটার মনোরম সৈকতের গোটা এলাকা। যে যার মতো দোকানপাট বসাচ্ছে। এছাড়াও ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালকদের উপদ্রব রয়েছে। পায়ে হাটাপথের জায়গায় বাধ্য করছে মোটরসাইকেলে চলাচলে। একটু নীরব পরিবেশে গিয়ে দাড়ানো যায়না ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালকদের উপদ্রবের কারণে। ত্যাক্ত-বিরক্ত পর্যটক দর্শনার্থী এদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি পর্যটক-দর্শনার্থীরা কুয়াকাটায় এসেই সৈকতের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন সাগরপারে ভিড় জমায়। আগতরা অনেকেই দুপুরে সাগরে গোসলে নামেন। আবার শেষবিকেল থেকে জড়ো হন সূর্যাস্তের মতো মনোরম দৃশ্য অবলোকন করেন। এ সময় জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটু নিরিবিলি পরিবেশ চায় আগত পর্যটকরা। কিন্তু জিরো পয়েন্টে বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফার, ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালকদের উপদ্রব চলে। জিরো পয়েন্টে হাটাচলা করেন পর্যটকরা। কিন্তু ওই পয়েন্টে রাতে বসানো অস্থায়ী চা-কফি, চানাচুর, ফুচকা, চটপটির দোকানটি দিনের বেলা ফেলে রাখা হয়। ফেলে রাখা হয় মাছ ধরার জাল। পচা মাছ পর্যন্ত পড়ে থাকে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয় এসব। বেঞ্চি-ছাতার সামনে রাখা হয় মাছ ধরার নৌকা। নৌকা, স্পিডবোট সাগর থেকে ওঠানো চাকার স্ট্যান্ড পর্যন্ত ফেলে রাখা হয় বিচের ওপর। কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি, ট্যুরিস্ট পুলিশ কিংবা কুয়াকাটা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পর্যটকের এসব সমস্যা আর ভোগান্তি লাঘবে সবসময় বলে আসছেন তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এখনও তাই বলেছেন সবাই। কিন্তু পর্যটকের দূর্ভোগ লাঘব হয় না। চরম বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা নিয়েই পর্যটকরা কুয়াকাটা ত্যাগ করছেন। আর হোটেল-মোটেল মালিকদের মন্তব্য এসব কারণে এ বছর জানুয়ারিতে পর্যটকের আগমন খুবই কম রয়েছে।
×