ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতুতে কর্মরত চৈনিকদের চীনে আসা-যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ১২:৪১, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

পদ্মা সেতুতে কর্মরত চৈনিকদের চীনে আসা-যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ চীনা কর্মীদের থেকে যাতে করোনা ভাইরাস ছড়াতে না পারে সে বিষয়ে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে কর্মরত চীনা কর্মীদের মধ্যে যারা ছুটি কাটাতে চীনে গেছেন, আপাততঃ তাদের বাংলাদেশে ফেরা বন্ধ করা হয়েছে। আবার চীনা কর্মীদের মধ্যে যারা প্রকল্প এলাকায় রয়েছেন তাদের কেউ যেন চীনে যেতে না পারেন সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেওয়ান আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, ‘করোনা ভাইরাসে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কোন কর্মী আক্রান্ত নন। তবে এই ভাইরাসের যেহেতু কোন ভ্যাকসিন নেই, তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যেগুলো নিতে হয়, সেগুলো নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে স্টাফদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও হাইজিন ব্যবস্থা ও মাস্ক পরিধান করা, সময়ে সময়ে আইইডিসিআর (ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল এ্যান্ড রিসার্চ) এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। তারাও (আইইডিসিআর) বিষয়গুলো মনিটর করছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, ‘চীনা কর্মকর্তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আলাদা। যারা তাদের সার্ভ করেন, তারা যেন সব সময় সেফটি ড্রেস (মাস্ক ও গ্লোভস) পরিধান থাকেন, সেগুলোতে জোর দেয়া হচ্ছে। চীনা কর্মীদের আলাদা ক্যাম্প আছে। অন্যদের সঙ্গে যেন অতিরিক্ত মেলামেশা না করেন, সে বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত নই। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা খুব সতর্ক অবস্থায় আছি যেন কোন ঝামেলা না হয়। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ ‘জসলদিয়ায় জ্বরে দুজনের আকস্মিক মৃত্যুর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের কোন সম্পৃক্তা নেই’। ঘটনাস্থল ঘুরে এসে মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টায় এই তথ্য জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটির প্রধান মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ নিজামউদ্দিন হেলাল। তিনি জানান, কমিটির অপর সদস্য একই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ কামরুল হাসান এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ দেবাজ মালাকার মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন। এরপর তারা নিশ্চিত হয়েছেন। জসলদিয়া মারা যাওয়া শামীমা আক্তার (৩৪) এবং তার দেবরের পুত্র আব্দুর রহমানের (৩) মৃত্যুর সঙ্গে করনো ভাইসের কোন লিঙ্ক নেই। দুজনের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে কোন লিঙ্ক নেই। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
×