ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

২০১৯ এসএ গেমসের পদকজয়ী আনসারের ক্রীড়াবিদরা পুরস্কৃত

প্রকাশিত: ০৮:০৯, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

২০১৯ এসএ গেমসের পদকজয়ী আনসারের ক্রীড়াবিদরা পুরস্কৃত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সবার গায়ে আনসার ও ভিডিপির ট্র্যাক স্যুট। কিন্তু শতাধিক ক্রীড়াবিদদের মধ্যেও আলাদা করে চেনা যাচ্ছিল আরচার রোমান সানাকে। কারণ তার গায়ে ছিল আনসার বাহিনীর পোষাক। হঠাৎ সবার চেয়ে আলাদা পোষাকে কেন রোমান? হাস্যোজ্জ্বল কণ্ঠে এই তীরন্দাজের কথা, আজ আমাকে পদন্নোতি দিবেন ডিজি স্যার। তাই বাহিনীর পোষাক করে আসতে হয়েছে। মঙ্গলবার খিলগাঁওস্থ আনসার ও ভিডিপির সদর দপ্তরে রোমান সানাকে ল্যান্স নায়েকের ব্যাজ পরিয়ে দেন আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ। নেপালে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে আনসার ও ভিডিপির ১৪৪ ক্রীড়াবিদ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে অংশ নেন। যার মধ্যে একক ও দলগতে ৮টি স্বর্ণ, ১৩টি রুপা ও ৪৭টি ব্রোঞ্জপদকসহ মোট ৬৮ পদক জেতেন। পদকজয়ী ৭৮ ক্রীড়াবিদদের ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার প্রাইজমানি দেয়া হয়। একক ইভেন্টের সোনাজয়ীদের এক লাখ, রুপা জয়ীদের ৭৫ হাজার এবং ব্রোঞ্জপদক জয়ীদের ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। রোমান ছাড়াও অন্য কৃতী ও স্বর্ণজয়ী ক্রীড়াবিদদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, কারাতেকা হোমায়রা আক্তার অন্তরা এবং আরচার সোমা বিশ্বাস। উল্লেখ্য, জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতাতেও আনসারের সাফল্য ঈর্ষণীয়। শুধু ২০১৯ সালেই সার্ভিসেস এই সংস্থাটি জাতীয় ও অন্যান্য পর্যায়ের ৩১টি প্রতিযোগিতায় অঙশ নিয়ে ১৭৫ স্বর্ণ, ১০২ রৌপ্য ও ৭৮ তাম্রপদক পেয়ে ২৬টি চ্যাম্পিয়ন, ৪টিতে রানার্সআপ এবং ১টিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদক’ এবং ২০০৮ সালে ক্রীড়ালেখক সমিতি কর্তৃক শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া সংগঠক পুরস্কার’ পাওয়া সংস্থা হলো আনসার। আগামী ১-১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসে অংশ নিয়ে আনসার চ্যাম্পিয়ন হবে এবং হলে তাদের ক্রীড়াবিদদের এভাবে আবারও পুরস্কৃত করার আশা করে আনসার। আনসারের মহাপরিচালক বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়-আমাদের বাহিনীর ভাতাপ্রাপ্ত খেলোয়াড়রা জাতীয় প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতলেই অন্য বাহিনী ও সংস্থাগুলো সরকারী চাকরি দিয়ে তাদের নিয়ে যায়। গত তিন বছরে এভাবে আমাদের অনেক সফল খেলোয়াড়ই আনসার ছেড়ে অন্য বাহিনী বা সংস্থায় যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে গত এক বছরেই চলে গেছেন ৪৪ জন! তবে আমরা আনন্দিত আমাদেরই তৈরি করা খেলোয়াড়রা ভালো খেলার সুবাদে অন্য বাহিনী বা সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন, তাদের কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থা হয়েছে। আনসার থেকে যেন এরপর থেকে কোন খেলোয়াড় চলে না যান, সেজন্য শিঘ্রীই নিজেদের আইন পরিবর্তন করতে যাচ্ছে আনসার। এ প্রসঙ্গে আনসারে মহাপরিচালক বলেন, এই বাহিনীর পক্ষে খেলাধুলায় ভাল ফল অর্জনকারী, যাদের সরকারী চাকরি হয়নি, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, উচ্চতা ও অন্যান্য বিষয়গুলো শিথিল করে নিয়োগের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে।
×